Hooghly Mahesh Ratha Yatra: ৬২৮ বছরে মাহেশের রথযাত্রা! ৫০ ফুট উঁচু রথ দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়
Jagannath Ratha Yatra: পুরীতে কয়েক বছর অন্তর অন্তর নবকলেবর অনুষ্ঠান হয়, মাহেশে তেমন হয় না। একই বিগ্রহের পুজো হয়।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যশালী রথযাত্রা (Ratha Yatra 2024) হুগলির মাহেশের রথ। রথ উৎসব উপলক্ষ্যে ভিড়ে ঠাসা মাহেশ। শতাব্দীপ্রাচীন (Mahesh Ratha Yatra) এই রথযাত্রা উৎসবে প্রতিবছর ভিড় করেন ভক্তরা।
এবার ৬২৮ বছরে পড়ল এই রথযাত্রা। আগে এখানে ছিল কাঠের রথ। ১৩৬ বছর আগে লোহার রথ তৈরি হয়। তারপর থেকে সেই চলই চলে আসছে। ১২৫ টন ওজনের এই লোহার রথের উচ্চতা ৫০ ফুট। পুরীতে কয়েক বছর অন্তর জগন্নাথের নবকলেবর হয়। কিন্তু মাহেশে ৬২৮ বছর ধরে একই বিগ্রহের পুজো হচ্ছে।
মহিষাদলের রথযাত্রা:
আড়াইশো বছরের পুরনো পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রা। ১৭৭৬ সালে রানি জানকীদেবী মিলনমেলার উদ্দেশ্যে এই রথযাত্রার সূচনা করেন। আগে ১৭ চূড়ার রথ ছিল। এখন ১৩ চূড়ার রথ। লোহার পাত দিয়ে মোড়া রথের মোট ৩৪টি চাকা আছে।মহিষাদলের রথের উচ্চতা প্রায় ৪০ ফুট। মহিষাদল রাজবাড়ির এই রথে জগন্নাথের সহযাত্রী কুলদেবতা মদনগোপাল জিউ ও রাজ পরিবারের শালগ্রাম শিলা। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে প্রায় এক মাস ধরে মহিষাদলে মেলা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন পুণ্যার্থীরা।
মল্লরাজাদের রথ উৎসব:
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে মল্লরাজাদের রথের রশিতে পড়ল টান। সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই রথযাত্রা বিশেষত্ব হল, জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা নন, রথে সওয়ার হন রাধা মদন গোপাল জিউ। কথিত আছে, ১৬৬৫ সালে বিষ্ণুপুরের মল্লরাজা মাধবগঞ্জে রানি শিরোমণি দেবীর ইচ্ছায় পাথরের পাঁচ চূড়া মন্দির নির্মাণ করেন। মন্দিরের বিগ্রহ রাধা মদন গোপাল জিউ। এই মন্দিরের অনুকরণে তৈরি হয় পিতলের রথ। সকালে রথের মধ্যেই পূজার্চনা ও আরতি করা হয়। রথের রশিতে টান দিতে দূর-দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা এসেছেন।
পুরীর জগন্নাথধামে রথযাত্রা:
রথের দিনে পুরনো চেহারায় পুরী। সৈকত শহরে উপচে পড়ছে ভিড়। মুহুর্মুহু শোনা যাচ্ছে জয় জগন্নাথ ধ্বনি। একবার রথের রশিতে টান দিতে কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী জগন্নাথ ধামে এসেছেন। এই প্রথম নবযৌবন বেশ, নেত্র উৎসব, রথযাত্রা সব একই দিনে হচ্ছে।ফলে রথের রশিতে টান পড়বে আজ বিকেলে। প্রথমে বেরোবেন সুদর্শন। গর্ভগৃহ থেকে ২২ ধাপে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে নামিয়ে আনা হবে। ২২ ধাপের তৃতীয় ধাপে শিবের দর্শন নেন জগন্নাথ। এরপর দুলিয়ে দুলিয়ে বাজনা বাজিয়ে বিগ্রহকে তোলা হবে রথে, যা পহন্ডি নামে পরিচিত। জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলরামের তালধ্বজ আর সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন বা পদ্মধ্বজ। এরপর পুরীর রাজা সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা ঝাঁট দেবেন। এই রীতিকে বলা হয় ছেড়াপহরা। আগামীকাল শেষ হবে রথযাত্রা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে ক্যাপ্টেন কুল ধোনিকে প্রণাম স্ত্রী সাক্ষীর! কেক কেটে আয়োজন সলমনের! ভাইরাল ভিডিও