Ration Corruption: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান
ED Arrested Bakibur: টানা ৩দিন, ৫৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও ১১ ঘণ্টা জেরার পর বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করল ইডি, কী দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ?
কলকাতা: রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam Case) গ্রেফতার মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান (Arrested Businessman Bakibur Rahman)। টানা ৩দিন, ৫৫ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি ও ১১ ঘণ্টা জেরার পর বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করল ইডি (ED)।
ইডি সূত্রে খবর, বয়ানে অসঙ্গতি ও তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ। বাকিবুরের ৩টি চালকল, পানশালা, হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। ইডি সূত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, 'বিপুল সম্পত্তি তৈরির পিছনে টাকার উৎস কী, তার সদুত্তর দিতে পারেননি বাকিবুর। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বাকিবুরের।'
প্রসঙ্গত, রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগে FIR দায়ের করেছিল ইডি। সেই মামলায় কলকাতা লাগোয়া উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মোট ১২টি জায়গায় হানা দেয় ED। যার অন্যতম ছিল কৈখালিতে মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট। পাশাপাশি বাগুইআটির দশদ্রোণ এলাকায় বাকিবুরের শ্যালক অভিষেক দাসের ঠিকানাতেও হানা দেয় ED। ইডি সূত্রে দাবি, দুটি জায়গা থেকেই প্রচুর পরিমাণে নথি, মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এমনকি লুকিয়ে রাখা কয়েকটি মোবাইলও উদ্ধার করেছেন অফিসাররা।
বাকিবুরের শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি ইডি সূত্রে। ইডি সূত্রে দাবি, সমন জারি করে চলে এলে, বাকিবুর নাও আসতে পারেন। এমন আশঙ্কা থেকেই এদিন সমন জারি করে ইডির গাড়িতে বসিয়েই ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে।ইডি সূত্রে দাবি, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন ব্যক্তি। রাজ্যের এক মন্ত্রীর ডান হাত হিসেবেই লোকে বাকিবুরকে চেনে। হোটেল, পানশালা, রেস্তোরাঁ ছাড়াও ৩ টি চালকলের মালিক তিনি। এখানেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রশ্ন, এত টাকা বাকিবুরের কাছে এল কোথা থেকে ? বিপুল এই টাকার সঙ্গে কি কোনও দুর্নীতির যোগ রয়েছে ? যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্তে নেমেছে ইডি।
আরও পড়ুন, সপ্তাহান্তে স্বস্তি ? মহালয়ায় কেমন আবহাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ?
আর এই প্রসঙ্গ নিয়ে গতকাল বিস্ফোরক মন্তব্য করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই ঘটনায় রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করেন তিনি। নাম না করে তোপ দাগলেন 'ভাইপোকেও।' শুভেন্দু বলেন, 'চালকলের মালিক বাকিবুর রহমানকে তুলে নিয়ে গেছে। যাঁর টাকা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর কাছে যেত, পরে তাঁর মাধ্যমে পৌঁছত ভাইপোর কাছে।'