Ratri Sathi Scheme: কাজে কতটা অগ্রগতি? রাত্রি সাথী প্রকল্পের রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দফতরের
Kolkata News: RG কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের পর আন্দোলনের মধ্যেই নারী সুরক্ষার জন্য রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে রাত্রি সাথী প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়।

ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: RG কর-কাণ্ডের আবহে নারী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রাত্রি সাথী প্রকল্প ঘোষণা করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে এই প্রকল্প চালু হয়। একবছর পার হয়ে যাওয়ার পর, প্রকল্পের কাজে কতটা অগ্রগতি জানতে চাওয়া হল স্টেটাস রিপোর্ট।
RG কর-কাণ্ডের আবহে নারী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে রাত্রি সাথী প্রকল্প ঘোষণা করে স্বাস্থ্য দফতর। একবছর পার হয়ে যাওয়ার পর, প্রকল্পের কাজে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা জানতে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও অধিকর্তাদের কাছ থেকে স্টেটাস রিপোর্ট চাইলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব। RG কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের পর আন্দোলনের মধ্যেই নারী সুরক্ষার জন্য রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে রাত্রি সাথী প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়। প্রকল্পের মধ্যে ছিল, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আরও CC ক্যামেরা লাগানো, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা নথিভুক্তিকরণ, বিভিন্ন ওয়ার্ডে আলাদা করে বিশেষ বিশ্রামাগার তৈরি-সহ পরিকাঠামোগত
উন্নয়ন। সেই পরিকল্পনার কতটা অগ্রগতি হয়েছে জানতে এবার স্টেটাস রিপোর্ট চাইল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
গত বছর রাত্রি সাথী প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্কও হয়। সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে একাধিক আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ রয়েছে তাতে, যার মধ্যে মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চালানোর উল্লেখও রয়েছে। এই নির্দেশটি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক বাঁধে। রাজ্য় সরকারের তরফে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে নাইট ডিউটিতে মেয়েরা থাকলে মহিলা নিরাপত্তারক্ষী, মহিলা ভলান্টিয়ার, পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারের একাধিক নির্দেশ ছিল। সেই সঙ্গেই, যতটা সম্ভব মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়াও এই প্রকল্পে আরও একাধিক আচরণবিধির উল্লেখ করা হয়
- রাতের বেলা ডিউটির ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য পৃথক এবং চিহ্নিত রেস্টরুম ও শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
- রাতের বেলা মহিলারা ডিউটি করলে, তাঁদের সঙ্গে থাকবেন মহিলা ভলান্টিয়াররা। মহিলা বান্ধব কাজের পরিবেশ তৈরি করবে পুলিশ।
- কর্মক্ষেত্রে সেফ জোনগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে এবং চলবে নজরদারি।
- রাতের বেলা মহিলাদের জন্য বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপ আনা হচ্ছে, 'রাতের সাথী', যাতে অ্যালার্ম ডিভাইস থাকবে। বাধ্যতামূলক ভাবে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে মহিলাদের। অ্যাপটি পুলিশের কন্ট্রোল রুম এবং থানার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে, যাতে সহজেই বিপদবার্তা পৌঁছয়।
- আপদকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য ১০০ এবং ১১২ হেল্পলাইন নম্বরু দু'টির ব্যাপক ব্যবহার।
- সিকিওরিটি টেক, ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবস্থা থাকতে হবে সর্বত্র।
- মহিলাদের নিরাপত্তা সম্পর্কে সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিতে সচেতনতা অভিযান চালাতে হবে। এই সংক্রান্ত কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
- মহিলাদের জোড়ে কাজ করার উপর গুরুত্ব আরোপ। এমন ভাবে শিডিউল বানাতে হবে, যাতে জোড়ায় কাজ করতে পারেন মহিলারা। কে, কোথায় যাচ্ছেন, জানতে পারেন। টিম হিসেবে কাজ করতে পারেন।
- বেসরকারি সংস্থাগুলিতে এই প্রকল্পের অধীন আচরণবিধি গুলি চালু করতে হবে।
- নাইট ডিউটিতে পুলিশের প্যাট্রোলিং চলবে। পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে সর্বত্র।
- কর্মী থেকে নিরাপত্তারক্ষী, প্রত্যেককে গলায় পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে রাখতে হবে। হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীদের পুলিশ মোতায়েন করবে।
- ডাক্তার থেকে কর্মী, কাজের সময় যেন ১২ ঘণ্টার বেশি না হয় কোনও পরিস্থিতিতেই। সম্ভব হলে মহিলাদের রাতের ডিউটি থেকে বিরত রাখতে হবে।
- নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে মহিলা এবং পুরুষ সমানুপাতের উপর জোর দিতে হবে। অর্থাৎ সমসংখ্যক পুরুষ এবং মহিলা নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে।






















