Justice Abhijit Ganguly: 'ভগবান উদ্ধার করুন', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীরা
Recruitment Scam:চাকরিপ্রার্থীদের দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে।
কলকাতা: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর বাড়িতে গেলেন ২০১৬-র এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। 'ভগবান উদ্ধার করুন', প্ল্যাকার্ড হাতে বিচারপতির সাক্ষাৎপ্রার্থী চাকরিপ্রার্থীরা।
'আমাদের উদ্ধার করুন' লেখা ব্যানার নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বাড়ির সামনে চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের দেখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কথা বলেন চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে। চাকরি না পেয়ে হতাশার কথা বিচারপতিকে বলছেন চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের হতাশ না হয়ে পড়ার পরামর্শ বিচারপতির। আইনি পদ্ধতিতে এগোনোর পরামর্শ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। ফোনে কারও সঙ্গে কথাও বললেন।
চাকরিপ্রার্থীদের প্রতি সবরকম ভাবে সহমর্মিতা রয়েছে। সেই কারণেই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানান তিনি। এক চাকরিপ্রার্থী জানান, তাঁদের কাছে মামলা লড়ার মতো অর্থ নেই। তখন চাকরিপ্রার্থীদের লিগাল এইডে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে লিগাল এইড সবরকম খরচ বহন করবেন বলে জানান বিচারপতি।
বিচারপতি এদিন বলেন, 'কান্নাকাটি করবেন না। ভারতবর্ষের আইন এখনও এমন রয়েছে যে হকের পাওনা পাওয়া যাবে।' মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি আরও বলেন, 'আমার ভাল লাগল আপনারা এলেন। আপনারা বললেন আপনাদের সমস্যাটা। চাকরি পাবেন কি পাবেন না সেটা বলতে পারব না। সেটা আইনে রয়েছে, সেই মতোই হবে।'
'ভারতবর্ষের একজন সামান্য নাগরিক হিসেবে, আমার আয়ত্ত্বের মধ্যে যেটুকু করা সম্ভব, বলা সম্ভব সেটুকুই বললাম।', সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।
নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলায় তাঁর পর্যবেক্ষণ এবং রায়ের সুবাদে জনমানসে পরিচিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরি সংক্রান্ত একাধিক মামলা তাঁর কাছে এসেছিল। তাঁর রায় ও মন্তব্য নিয়ে বারবার তোলপাড়ও হয়েছে। এদিন তাঁর এজলাস নয়, সরাসরি তাঁর বাসভবনেই চলে এলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। চাকরি সংক্রান্ত নানা দাবি-দাওয়া রাখা হল তাঁর কাছে। বাড়ির বাইরে বেরিয়ে সাক্ষাৎপ্রার্থী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে কথা বললেন তিনি। আইনের উপর ভরসা রাখতে বললেন, আইনজীবীর সাহায্য নিয়ে ঠিকমতো আইনি পথে লড়াইয়ের জন্য পরামর্শও দিলেন। বাড়ি চলে আসার জন্য বারবার তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছিলেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ, ক্ষমার কোনও বিষয় নয় বলে উল্টে তাঁদের সান্ত্বনাও দিতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিকে। এমন ভাবে দেখা করার নিয়ম না হলেও স্রেফ সহানুভূতির খাতিরে তিনি বেরিয়ে এসে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: ২০১৬-র মেধাতালিকা সিঙ্গল বেঞ্চে পেশের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ