Recruitment Scam Case: রাজ্যপালের অনুমতিপত্র পেশ, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়ায় বাধা রইল না
Enforcement Directorate: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিনকয়েক আগেই কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ED।

কলকাতা : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়ায় আর কোনও বাধা রইল না। বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর জন্য রাজ্যপালের অনুমতিপত্র পেশ। বিশেষ আদালতে অনুমতিপত্র পেশ করল ইডি। ১২ সেপ্টেম্বর চন্দ্রনাথ সিংহকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 'চন্দ্রনাথ সিনহার নামে ১৫ দিনের মধ্য়ে সমন জারি করতে হবে।' সমন জারি করে কোর্টে পেশ করতে হবে তাঁকে, নির্দেশ ED-র বিশেষ আদালতের।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, "এটা আরও অনেক আগে প্রত্যাশিত ছিল। আরও অনেক আগে হওয়া দরকার ছিল। সেটা অনেক দেরিতে হল। এ রাজ্যে টেকনিক্যাল বিভিন্ন সমস্যা হয়...আমি পুরোটা অবগত নই। কিন্তু, এধরনের সমাজের পাপীরা সমাজে বুক ফুলিয়ে লালবাতি গাড়ি আর পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরবে, ভারত তথা বাংলার মানুষ এটা একেবারেই দেখতে চায় না। ২৬ হাজার ছেলে-মেয়ের, চাকরি ফাইনালি চলে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমার প্রাণ থাকতে চাকরি যেতে দেব না। চাকরিও গেল, উনিও বহাল তবিয়তে আছেন। এই দুটো একসঙ্গেই বা কেন হবে ? কী বলব...এদের জেলেই থাকা উচিত।" তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ কুণাল ঘোষ অবশ্য বলছেন, "এটা সম্পূর্ণ তদন্ত ও আইনের বিষয়। এ বিষয়ে এভাবে কোনও মন্তব্য করতে পারব না। এটা আমার মনে হয়, চন্দ্রনাথবাবু এবং তাঁর আইনজীবীরা যথাযথ উত্তর দিতে পারবেন। কেন কখন কোন সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সি সক্রিয় হয়, কোন উদ্দেশে সক্রিয় হয় এটা বাংলার মানুষ জানেন। তবু তদন্তের বিষয়। এ বিষয়ে সরাসরি এখন রাজনৈতিক মন্তব্য এখন করব না।"
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দিনকয়েক আগেই কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ED। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহর দু'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেড় কোটি টাকা জমা পড়েে। এই টাকা জমা পড়েছিল ২০১৬-২০২১-এর মধ্যে, এমনই খবর ED সূত্রে।
প্রথম থেকেই ইডি-র তরফে অভিযোগ আনা হচ্ছিল, চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ি থেকে যে ৪০ লক্ষ টাকা তারা বাজেয়াপ্ত করেছিল, তার কোনও হিসাব তিনি দিতে পারেননি। যে চার্জশিট জমা পড়ে, তাতে ইডি-র তরফে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পেশ করা হয়। সেই অনুযায়ী তারা দাবি করে, চন্দ্রনাথ সিনহার দু'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে বোলপুরে। তাঁর নিজের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট যখন ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া হয়, সেটা খতিয়ে দেখা যায় যে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল, এই পাঁচ বছরের মধ্যে চন্দ্রনাথ সিনহার এই দু'টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় দেড় কোটি টাকা নগদ জমা পড়েছে। ক্যাশ ডিপোজিট হয়েছে। এই তথ্য সামনে রেখে ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, যখন চন্ত্রনাথ সিনহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তিনি কোনও সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। টাকা কোথা থেকে এল সেটার উৎস তিনি জানাতে পারেননি। কেন ইডি আধিকারিক মনে করছেন, এই টাকা চাকরি বিক্রির টাকা ? ইডির তরফে দাবি করা হয়, ঠিক সেই সময় চন্দ্রনাথ সিনহার নামে কুন্তল ঘোষের যে ডায়েরি, সেই ডায়েরিতে তাঁর নাম লেখা দেখা যায়। টাকার হিসাব লেখা ছিল। সবমিলিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে চার্জশিটে।






















