Jibankrishna Saha: মোবাইল থেকে প্রচুর ডেটা ডিলিট করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা, ১০০ শতাংশই উদ্ধার; দাবি CBI-এর
CBI Investigation : সিবিআই সূত্রে দাবি, যা কিছুর হদিশ মিলেছে, তা তদন্তকারীদের কাছে অমৃতের তুলনায় কিছু কম নয়
কলকাতা : জীবনকৃষ্ণ সাহার ফোনেই লুকিয়ে দুর্নীতির তথ্য ? 'ধৃত তৃণমূল বিধায়ক দু'টি ফোন থেকে প্রচুর ডেটা ডিলিট করেছেন।ওড়ানো হয়েছিল প্রচুর কথোপকথনের রেকর্ড ও ছবি।' সিবিআইকে এমনটা জানিয়েছেন দিল্লির ফরেন্সিক অফিসাররা, খবর সূত্রের। এসএসসি মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর তথ্য ওড়ানো হয়েছে বলে খবর সূত্রের। ডেটা ডিলিটের পরেও ১০০ শতাংশ তথ্য পুনরুদ্ধার করা গেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। তথ্য প্রমাণ লোপাটেই পুকুরে মোবাইল ফেলেছিলেন জীবনকৃষ্ণ, দাবি সিবিআই সূত্রে।
সমুদ্র মন্থনে উঠে এসেছিলেন মা লক্ষ্মী, গরল আর অমৃত। আর এই ঘোর কলি কালে, মুর্শিদাবাদে পুকুর মন্থনে উঠে এসেছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ২টি মোবাইল ফোন। আর সিবিআই সূত্রে দাবি, তাতে যা কিছুর হদিশ মিলেছে, তা তদন্তকারীদের কাছে অমৃতের তুলনায় কিছু কম নয়। উদ্ধার হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির সাড়ে ৩০০ পাতার তথ্য! কয়েকশো অডিও ক্লিপ! বহু হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট ! আর গ্য়ালারিভর্তি ছবি !
এর আগে সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার তাদের বড় হাতিয়ার হতে চলেছে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি মোবাইল ফোনের তথ্য।
১৪ এপ্রিল নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশির দিন তৈরি হয়েছিল নাটকীয় পরিস্থিতি ! কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, তথ্য লুকোতে, তল্লাশি অভিযানের মাঝপথে নিজের দুটি মোবাইল ফোন বাড়ির পাশের পুকুরে ছু়ড়ে ফেলে দিয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক। প্রায় তিন দিন ধরে পুকুরের জল ছেঁচে মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে পুকুরের মাটি সরিয়ে শেষে উদ্ধার করা হয় মোবাইল ফোন দুটি।
সিবিআই সূত্রে আরও দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও কয়েকশো অডিও ক্লিপে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কথোপকথন হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখান থেকে মিলেছে বেশ কিছু নাম। এবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, তথ্য গোপন করতেই দুটি ফোন ছুড়ে বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক।
সিবিআই সূত্রে দাবি, শুধুমাত্র নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্যই নয়, পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া জীবনকৃষ্ণ সাহার ২টি ফোনে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বেনিয়মের হদিশ মিলেছে।
'জীবনস্মৃতি'তে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শৈশবের কথা বলতে গিয়ে লিখেছিলেন, জানালার নীচেই একটি ঘাট-বাঁধানো পুকুর ছিল। তাহার পূর্বধারের প্রাচীরের গায়ে প্রকাণ্ড একটা চীনা বট—দক্ষিণধারে নারিকেলশ্রেণী। গণ্ডি-বন্ধনের বন্দি আমি জানলার খড়খড়ি খুলিয়া প্রায় সমস্ত দিন সেই পুকুরটাকে একখানা ছবির বহির মতো দেখিয়া দেখিয়া কাটাইয়া দিতাম।
কিন্তু, এই ঘোর কলি কালে পুকুরের সঙ্গে সেই স্মৃতি উধাও। এখন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে, পুকুর পাড়ে বসে নথি পোড়ানোর। তো কেউ তথ্য গোপন করতে পুকুরে মোবাইল ছোড়েন...পুকুর পাড়ে নথি লোকান। কিন্তু, এত কিছু করেও রেহাই পেলেন না তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ। পুকুর থেকে উঠতেই নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জীবন ফিরে পেল বিধায়কের ২ মোবাইল। আর ফের সঙ্কটে পড়লেন জীবনকৃষ্ণ।