Recruitment Scam Haimanti Office : খাস কলকাতায় হৈমন্তীর অফিস ! সেখানে এবিপি আনন্দ, কী নজরে এল
Recruitment Scam : ডালহৌসী এলাকার এই বিল্ডিংয়ের ৫ তলায় ৪১২ নম্বর রুমে হৈমন্তী অ্য়াগ্রো প্রডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সামনে এসেছে এক 'রহস্যময়ী নারী'র নাম। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়। এবার হৈমন্তীর অফিসের খোঁজ পেল এবিপি আনন্দ। ডালহৌসী এলাকার এই বিল্ডিংয়ের ৫ তলায় ৪১২ নম্বর রুমে হৈমন্তী অ্য়াগ্রো প্রডাক্ট প্রাইভেট লিমিটেডের অফিস।
অফিস বর্তমানে তালাবন্ধ। তবে, দরজার বাইরে একটি ফোন নম্বর দেওয়া। সেই নম্বরে ফোন করলে, হিন্দি ও মারাঠি ভাষায় অটোমেটিকালি বলা হচ্ছে এই নম্বরটি ইনঅ্য়াক্টিভ রয়েছে। আশপাশের অফিসের কর্মীদের দাবি, হৈমন্তীর অফিসটি অনেকদিন ধরেই তালাবন্ধ।
আরও পড়ুন :
'রহস্যময়ী' হৈমন্তীর ঠিকানায় এবিপি আনন্দ, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
অন্যদিকে আজই 'রহস্যময়ী' হৈমন্তীর ( Haimanti Ganguly ) ঠিকানায় এবিপি আনন্দ । হাওড়ার বাকসাড়া রোডে হৈমন্তীর বাপের বাড়ি । এই ঠিকানাতেই থাকে হৈমন্তীর পরিবার । পরিবারে রয়েছেন হৈমন্তীর বাবা-মা-ছোট বোন । ১০ দিন আগেও বাড়ি এসেছিল হৈমন্তী, দাবি 'রহস্যময়ী'র পরিবারের।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সামনে এসেছে এক 'রহস্যময়ী নারী'র নাম। যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে, হৈমন্তী গাঙ্গুলি নামে এক রহস্যময়ীর নাম উঠে আসে। কে সেই 'হৈমন্তী'? কেন কুন্তল তাঁর নাম বললেন? কোথায় সেই রহস্য়ময়ী 'হৈমন্তী'? কুন্তলের দাবি, এই হৈমন্তী গাঙ্গুলি হলেন, গোপাল দলপতির স্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে খোঁজ মিলছে না গোপাল দলপতির। গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী-র নামে নথিভুক্ত মুম্বইয়ের এক সংস্থা সিরোকো পার্টনার্সের নাম। সূত্রের দাবি, মুম্বইয়ের অভিজাত নরিম্য়ান পয়েন্টসেই না কি রহস্য়ময়ী হৈমন্তীর অফিস! সিবিআই সূত্রে দাবি, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় কোথায়? গোপাল দলপতিকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, উত্তরে গোপাল দলপতি বলেন, তিনি জানেন না। কয়েক বছর আগেই স্ত্রী ছেড়ে চলে গেছেন। তাঁর কোনও ফোন নম্বরও তাঁর কাছে নেই।
এরপর থেকে এই রহস্যময়ীর খোঁজ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, কুন্তলের মুখে তিনি কালীঘাটের যে কাকুর কথা শুনেছিলেন, তাঁর কাছে যেত নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। অন্যদিকে, এবার কুন্তল ঘোষ দাবি করছেন গোপাল দলপতির স্ত্রীর কাছে যেত নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। আর এর মধ্যেই, বুধবার গোপাল দলপতিকে তলব করেছিল সিবিআই। যদিও, হাজিরা দেননি তিনি। তার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গোপাল দলপতিকে।
১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কালজয়ী ছোটগল্প প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল! 'হৈমন্তী' গল্পে রবীন্দ্রনাথ সমকালীন সমাজজীবনের নানা ছবি ফুটিয়ে তুলেছিলেন! আর দুর্ভাগ্য়জনক বিষয় হল, বর্তমান বঙ্গ জীবনের সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হল, শিক্ষক নিয়োগে চরম দুর্নীতি! আর এই দুর্নীতিকাণ্ডেই এবার আর্বিভাব হল এক 'হৈমন্তীর'!