Remal Cyclone Update: টানা বর্ষণের জের, দক্ষিণ-পূর্ব শাখাতে ব্যাহত রেল পরিষেবা
Train Service Disruption: ঘূর্ণিঝড় রেমাল এবং টানা বর্ষণের জেরে ব্যাহত দক্ষিণ পূর্ব শাখার ট্রেন চলাচল।
সুনীত হালদার, হাওড়া: রেমালের (Remal Cyclone Update) তাণ্ডবে একাধিক জায়গায় রেললাইনে গাছ পড়ে বিপত্তি। আর এরই মধ্যে টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণ পূর্ব শাখাতেও ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা(Train Service Disruption)। টিকিয়াপাড়া কারশেডে জল জমায় বাতিল হয়েছে একাধিক লোকাল ট্রেন। চরম হয়রানির শিকার হলেন যাত্রীরা।
ব্যাহত রেল পরিষেবা: ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন। রেমাল এবং টানা বর্ষণের জেরে ব্যাহত দক্ষিণ পূর্ব শাখার ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রে খবর টিকিয়াপাড়া রেল ইয়ার্ডে লাইনে জল জমে যাওয়ার কারণে এই বিপত্তি। এখনও পর্যন্ত হাওড়া-পাঁশকুড়া , মেচেদা আপ এবং ডাউনের ছটি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত হাওড়া-দিঘা আপ এবং ডাউন তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস ছাড়া কোন দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়নি। দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে খবর তারা পাম্প চালিয়ে রেললাইন থেকে জল নামানোর চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে, রবিবার রাত ১১টার পর থেকেই শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় স্তব্ধ ট্রেন চলাচল। যার জেরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে চরম হয়রানির শিকার হলেন যাত্রীরা। ঝড়ের দাপটে ক্য়ানিং, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর, সোনারপুর, বজবজ শাখায় একাধিক জায়গায় রেললাইনে গাছ পড়ে যায়। ভোর থেকে টাওয়ার ভ্যানের সাহায্যে সেগুলি সরানোর কাজ শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। একই ছবি দেখা যায় নামখানা স্টেশনেও। কেউ সকাল থেকে স্টেশনে দাঁড়িয়ে, তো কেউ রাতভর অপেক্ষা করেও পৌঁছতে পারেননি গন্তব্যে। সকাল ৬টায় ট্রেন পরিষেবা চালুর কথা বলা হলেও শিয়ালদা থেকে প্রথম ক্যানিং লোকাল ছাড়ে সাড়ে ৯টার পর।
রাতভর বৃষ্টিতে হাওড়া পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। সালকিয়া, বেলগাছিয়া, টিকিয়াপাড়া, রামরাজাতলা, ঘুসুড়ি এবং লিলুয়ার বেশ কিছু জায়গায় জল জমেছে। সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাওড়া পুরসভার তরফে ১১টি পাম্প হাউস থেকে জল নামানোর কাজ চলছে। এর পাশাপাশি, ৭টি ভ্রাম্যমাণ পাম্প দিয়েও জল নামানো হচ্ছে। গতকাল রাতে ঝড়ের সময় মধ্য হাওড়ার হালদার পাড়া সেকেন্ড বাই লেনে একটি টালির চালের বাড়ির ওপর বড় গাছ ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পান বাসিন্দারা। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত হাওড়া ও কলকাতার মধ্যে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। বালি পুরসভারও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন। কয়েকটি জায়গায় গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।