RG Kar Case: 'RG কর-কাণ্ডে ঘটনার দিন যে ৪ জন নিহত চিকিৎসকের সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ নয় কেন? '
Victim Family Question On CBI On RG Kar Case: আর জি কর-কাণ্ডে কোর্টে চতুর্থ স্টেটাস রিপোর্ট, ক্ষুব্ধ পরিবার

কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডে কোর্টে চতুর্থ স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। ক্ষুব্ধ অভয়ার পরিবার। তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অখুশি তাঁরা। শিয়ালদা কোর্টে বিস্ফোরক অভিযোগ তাঁদের। বললেন, 'পুরনো স্টেটাস রিপোর্টে পয়েন্ট ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জমা দিয়েছে সিবিআই। আসলে তদন্তের অগ্রগতি কিছুই নেই। টাকা নিয়ে তদন্ত ধামাচাপার চেষ্টা, বিক্রি হয়ে গেছে CBI'।
CBI-এর ভূমিকা নিয়ে অভয়ার পরিবারের আইনজীবীর প্রশ্ন , 'ঘটনার দিন যে চারজন নিহত চিকিৎসকের সঙ্গে ছিলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ নয় কেন? কেন তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না?'। এরপরেই সিবিআইয়ের উদ্দেশে শিয়ালদা কোর্টের বিচারকের মন্তব্য , 'একজন চিকিৎসক নিজের কর্মক্ষেত্রে খুন হয়ে গেলেন। বিষয়টি সংবেদনশীল, গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।'
পুলিশের তদন্তের উপর নয়,একটা সময় যে CBI-এর উপর অগাধ ভরসা রেখেছিলেন, এখন সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর থেকেই ভরসাটাই হারিয়ে ফেলেছেন আর জি কর মেডিক্য়াল কলেজে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মঙ্গলবার শিয়ালদা আদালতে চতুর্থ স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল CBI.কিন্তু তাতে কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না, নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা।নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন, স্টেটাস রিপোর্টে সেই একই গড়িমসি, মানে আমরা দেখছি করছি। সেই ১০ নভেম্বরের পরে আজ আদালতে CBI-এর তদন্তকারী অফিসার যিনি, তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তিনি আজও সেই একই জায়গায় বোঝানোর চেষ্টা করছেন, যে সঞ্জয় রায়ই একা দোষী, আর কেউ নয়। আমরা বিচার চেয়েছিলাম। সঞ্জয় রায়কে দোষি সাব্যস্ত করিয়ে দিয়েছেন, ব্যস ওঁরা অনেক বড় কাজ করে ফেলেছেন। অন্য আর কিছু দেখবেন না। এরকম একটা মানসিকতা নিয়ে চলছে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা পর, কেটে গেছে ১০টা মাস।আগামী ৯ অগাস্ট, সেই বিভিষিকাময় ঘটনার এক বছর পূর্ণ হবে।এর মধ্যে আদালতের নির্দেশে আজীবন কারাবাসে রয়েছে একমাত্র মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে, আর জি কর মেডিক্যালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে CBI গ্রেফতার করলেও, ৯০ দিনের মধ্য়ে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে না পারায়, জামিন হয় তাঁদের।এরপর এদিন আদালতে চতুর্থ স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু এবার CBI-এর বিরুদ্ধে তথ্য চেপে রাখার মতো বিস্ফোরণ অভিযোগ করল নিহত চিকিৎসকের পরিবার।
নিহত চিকিৎসকের মা বলেন, 'আমাদের মনে হয়, CBI যে এতবড় তদন্তকারী সংস্থা হয়তো সবকিছুই জানে। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে হয়তো বলছে না। আমরা আদালতের উপরে ভরসা রাখছি।' তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ওর বাবা-মা বরঞ্চ রিপোর্ট তৈরি করে জমা দিন।....' সারদা থেকে নারদকাণ্ড, বিভিন্ন নিয়োগ দুর্নীতি, পশ্চিমবঙ্গের কোনও বড় দুর্নীতির মামলারই এখনও অবধি নিষ্পত্তি হয়নি।এই প্রেক্ষাপটে অস্বস্তিতে বিজেপিও।
সিপিএম এর কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'রাজ্য সরকার যা চেয়েছিল, তাতেই সিবিআই স্ট্যাম্প মেরেছে। সিবিআই যদি দিল্লির সরকারের নির্দেশে চলতে চায়। তাহলে তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে গুরুত্ব থাকে না। চিটফান্ড, নারদকাণ্ড, অভয়াকাণ্ডের তদন্ত ঠিকভাবে করতে পারল না। আসলে দিল্লির প্রভুরা চায়, যাতে মমতা ব্যানার্জি অসুবিধায় না পড়ে। 'বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হা বলেন, অনেকেই অসন্তুষ্ট। আশাবাদী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শেষ পর্যন্ত ভাল কাজ করবে।' দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর মঙ্গলবার CBI-এর আইনজীবীর উদ্দেশে শিয়ালদা আদালতের বিচারক বলেন, একজন চিকিৎসক কর্মক্ষেত্রে খুন হলেন। বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত হওয়া উচিত।মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ জুলাই।






















