RG Kar Case :মেরিট লিস্ট বদল থেকে আর্থিক তছরুপ! সন্দীপের বিরুদ্ধে মামলার গতি কোনদিকে? কবে রায়?
শুধু সরঞ্জাম কেনাবেচা নয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, পড়ুয়া ভর্তি নিয়েও দুর্নীতি করতে ছা়ড়তেন না সন্দীপ।

উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও সৌমিত্র রায়, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্য়ালে ধর্ষণ-খুনের মামলায়, শনিবার রায় দেবে শিয়ালদা কোর্ট। সিবিআই ৯০ দিনের মধ্য়ে চার্জশিট দিতে না পারায়, এই মামলায় জামিন পেয়ে গেছেন আর জি কর মেডিক্য়ালের তৎকালীন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এখন তিনি জেলে রয়েছেন দুর্নীতির মামলায়। সেই মামলার চার্জশিটেও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্য়কর সব অভিযোগ এনেছে সিবিআই।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর আলিপুরের বিশেষ CBI আদালতে যে চার্জশিট পেশ করা হয়, সেখানে 'দুর্নীতির ত্রিভুজ'-এর মাথা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। এই মামলায় সন্দীপ ঘোষের সঙ্গেই জেলে রয়েছেন হাসপাতালে সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থার মালিক বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরা। সিবিআইয়ের চার্জশিটে দাবি করা হয়, বিপুল অর্থের বিনিময়ে এই দু'জনকে সাড়ে ৬ কোটির বেশি টাকার বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে, নিয়ম ভেঙে, এই দু'জনের থেকে দ্বিগুণ দামে যন্ত্র কিনেছিলেন তিনি। তার কারও চার্জশিটে স্পষ্ট করে দিয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, ধৃত বিপ্লব ও সুমন জেরায় স্বীকার করেন, মোট বিলের ৮ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন বাবদ নগদ টাকায় নিতেন সন্দীপ ঘোষ। দু'জনেই দাবি করেন, সন্দীপ ঘোষ একাধিকবার ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেন। শুধু সরঞ্জাম কেনাবেচা নয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, পড়ুয়া ভর্তি নিয়েও দুর্নীতি করতে ছা়ড়তেন না সন্দীপ।
২০২৪-এর এপ্রিলে, আর জি কর মেডিক্যালে মেরিট লিস্ট বদলে দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। ইন্টারভিউয়ে প্রাপ্ত নম্বর কমিয়ে-বাড়িয়ে যোগ্যদের বঞ্চিত করে, অযোগ্যদের জায়গা করে দেন। চার্জশিটে CBI-এর দাবি, কারচুপি করা মেরিট লিস্টের ছবি তুলে রেখেছিলেন হাসপাতালের আপার ডিভিশন ক্লার্ক ও একজন সহকর্মী। সেই প্রমাণ গোয়েন্দাদের কাছে রয়েছে। ধর্ষণ, খুনের মামলার রায় শনিবার। দুর্নীতির মামলা কোনদিকে এগোচ্ছে? কবে আসবে রায়? সেটাই দেখার।
আর জি করে খুন ধর্ষণ মামলায় তথ্য প্রমাণ লোপের অভিযোগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে । কিন্তু সিবিআই ৯০ দিনেও চার্জশিট দিতে না পারায় জামিন পেয়ে যান প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল।
আরও পড়ুন :
'আপনার মেয়ে কিছুটা মারা গেছে' বলা হয়েছিল তাঁকে, বুকে দগদগে ক্ষত নিয়েই রায়ের অপেক্ষা মায়ের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
