RG Kar News: বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি, আর জি কর কাণ্ডে এবার মুখ খুললেন মিঠুন
RG Kar Incident: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে মহিলা চিকিৎসককে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সুবিচার চেয়ে এবার সরব বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। কী বললেন তিনি?
RG Kar News: আর জি কর কাণ্ডে (RG Kar Hospital Incident) প্রতিবাদের ঝড় দেশের সর্বত্র। বিদেশের মাটিতেও চলছে আন্দোলন। মিছিলে, স্লোগানে তোলপাড় বাংলাও। এই প্রসঙ্গে এবার সরব বিজেপি (BJP) নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও (Mithun Chakraborty)। বর্ষীয়ান নেতা বলেছন, 'আমি অনেকদিন ধরে অনেক জায়গায় অনেকবার এই কথাটা বলে এসেছি যে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা খুবই ভয়াবহ হয়ে উঠবে। কী বলব, বাঙালি হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি। পরিবারের (নির্যাতিতার পরিবার) প্রতি আমার সম্পূর্ণ সহানুভূতি রইল। আর যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাড়াতাড়ি তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় কাম্য।'
আর জি করের ন্যক্কারজনক ঘটনায় এর আগেও পদক্ষেপ নিয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের মিছিল, ধর্নার পাশাপাশি উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের, ইস্তফার দাবিও। তবে গত শুক্রবার শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের কাছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ধর্নায় বসার জন্য যে মঞ্চ তৈরি হয়েছিল তা আচমকাই খুলে নিয়ে যায় পুলিশ, এমনই অভিযোগ করে বিরোধী দল। এখানেই শেষ নয়। রবিবার বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে পুলিশ যেভাবে আন্দোলনে শামিল হওয়া মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান ক্লাবের সমর্থকদের আটকেছে, তা দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন তাহলে কি আন্দোলনকারীদের আটকানো, বাধা দেওয়াই পুলিশের লক্ষ্য?
রবিবার ছিল ডুরান্ড কাপের ডার্বি ম্যাচ। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, ফুটবল সমর্থকদের ভিড়ে ঢুকে অশান্তি করতে পারে কিছু মানুষ, এমন আগাম তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাই এই কথা জানিয়ে ম্যাচ বাতিল করা হয়। তবে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকরা জানান তাঁরা যুবভারতীর সামনে জড়ো হবেন আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে। রবিবার বিকেল থেকে আসতে থাকেন সমর্থকরা। যোগ দেন মহামেডান ক্লাবের সমর্থকরাও। শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছিল মিছিল, স্লোগান, প্রতিবাদ। আচমকাই আন্দোলনকারীদের হঠিয়ে দিতে শুরু করে পুলিশ। করা হয় লাঠিচার্জ। মুহূর্তে অশান্ত হয়ে ওঠে কাদাপাড়া সংলগ্ন ইএম বাইপাস চত্বর। কয়েকজন ফুটবল সমর্থককে টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় প্রিজন ভ্যানে। মহিলা সমর্থকদের উপরেও লাঠিচার্জ করে পুরুষ পুলিশ, এমন অভিযোগও উঠেছে। ব্যারিকেড করে যুবভারতীর সামনের অংশ ফাঁকা করে দেয় পুলিশ। এদিন চোখে পড়ার মত ছিল পুলিশের তৎপরতা সক্রিয়তা। বলা যায় পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ ছিল এলাকা। আর তাতেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যে পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে ডার্বি বাতিল হল, তাহলে আন্দোলনকারীদের দমাতে এত পুলিশ এল কোথা থেকে? আর পুলিশের এমন সক্রিয় ভূমিকা কেনই বা দেখা যায়নি ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের সময়?