RG Kar Doctor's Murder: আঙুল ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন উদয়ন, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ-মিছিলে যা হল দিনহাটায়...
Udayan Guha's Warning: মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন, পদত্যাগ দাবি করছেন, সেই আঙুলগুলো চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে।
দিনহাটা : উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সংগঠিত নাগরিক মিছিলে হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উঠল মিছিল হাইজ্যাকের চেষ্টার অভিযোগ। তা নিয়ে তুলকালাম বাঁধল কোচবিহার জেলার দিনহাটা শহরে। আর জি কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে গতকাল সন্ধেয় দিনহাটার হেমন্ত বসু কর্নার থেকে দলমত নির্বিশেষে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেন মহিলারা। অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন মিছিলে শামিল হয়ে তা হাইজ্যাক করার চেষ্টা করে। তৃণমূল পরিচালিত দিনহাটা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরীর উপস্থিতিতে শাসকদলের লোকজন মাইক ও ফ্লেক্স নিজেদের দখলে নিতে যায় বলে অভিযোগ। আপত্তি জানাতেই দু'পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। সবাইকে সরিয়ে দিতে তাড়া করে পুলিশ। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কর্মীদের সরিয়ে নেন। প্রতিবাদীদের অভিযোগ, মিছিলের দখল নিয়ে CBI জবাব দাও স্লোগান তুলছিল তৃণমূলের লোকজন। যদিও তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি, হামলার বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই।
R G কর মেডিক্যালকাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই প্রতিবাদীদের আঙুল ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন, পদত্যাগ দাবি করছেন, সেই আঙুলগুলো চিহ্নিত করে ভেঙে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। এরা বাংলাকে বাংলাদেশ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু হাসিনা যে ভুল করেছেন, মমতা সেই ভুল করেননি। R G কর মেডিক্যালে ভাঙচুরের সময় পুলিশ গুলি চালায়নি। পুলিশ ও রাজ্য সরকার বাংলাকে বাংলাদেশ করতে দেবে না। কোচবিহারের সাগরদিঘিতে R G কর মেডিক্যালে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ-খুনে দোষীদের শাস্তির দাবিতে তৃণমূলের প্রতিবাদ-সভায় এই মন্তব্য করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ।
পরের দিনও বেলাগাম মন্তব্য করেন উদয়ন গুহ। আর জি কর মেডিক্যালকাণ্ডের প্রতিবাদীদের আক্রমণ করতে গিয়ে মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। 'যাঁরা জিন্স পরেন, যাঁরা বয়কাট (বয়েজ কাট) চুল সেলুনে গিয়ে করেন বা চুল স্ট্রেট করেন তাঁরা কেউ মদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন না। তাঁরা কেউ IPL-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন না। তাঁরা কেউ লটারির টিকিটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন না। কারণ শহরের মানুষ তাঁরা মদ খান না, ড্রিঙ্ক করেন। ড্রিঙ্ক করলে অসুবিধা নেই। মদ খেলে অসুবিধা।' মহিলা আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদকে কার্যত ‘শহুরে’ বলে কটাক্ষ করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনেও আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। তাঁর কটাক্ষ, 'হাসিনাকে দেখে তোমাদের মুখে যদি হাসি ফোটে সেই হাসি কী করে বন্ধ করে দিতে হয়, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সেটা জানে। যদি অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাও, যদি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চাও, রাস্তায় নেমে তাকে প্রতিহত করবার রাস্তা আমাদের জানা আছে।' হুঙ্কার দেন উদয়ন গুহ।