RG Kar Parent's Protest: 'আমরা নবান্ন পৌঁছবই' হুঙ্কার আরজি কর কাণ্ডে সন্তানহারা মা-বাবার
Kolkata News: ক্যালেন্ডারে তারিখ ছিল ৮ অগাস্ট, ২০২৪। টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পর, বিশ্রামের জন্য গভীর রাতে ঢুকেছিলেন সেমিনার হলে।

সমীরণ পাল, কলকাতা: রাত পোহালেই আর জি কর কাণ্ডের এক বছর। মেয়ের মৃত্যুর বিচার চায় সন্তানহারা মা-বাবা। কাল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে অভয়ার পরিবার। হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসনের তরফে বিকল্প জায়গায় কর্মসূচির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই সুর চড়িয়েছেন অভয়ার মা বাবা।
ক্যালেন্ডারে তারিখ ছিল ৮ অগাস্ট, ২০২৪। টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পর, বিশ্রামের জন্য গভীর রাতে ঢুকেছিলেন সেমিনার হলে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেদিন রাতে 'On Call'-এ ছিলেন তরুণী চিকিৎসক। রাত দুটো নাগাদ তাঁর ডিউটি শেষ হয়। তারপরে জুনিয়রদের সঙ্গে ডিনার সারেন। এরপর জরুরি বিভাগের চারতলায় 'চেষ্ট ডিপার্টমেন্টে'র সেমিনার হলে বিশ্রামের জন্য ঢুকে যান। শুক্রবার সকালে সেই সেমিনার হল থেকেই উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। ক্যালেন্ডারে পেরিয়ে গিয়েছে একটা বছর। মেয়ের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে আগামীকাল নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন বাবা-মা। কিন্তু সেখানে শর্ত আরোপ করেছে পুলিশ প্রশাসন। যা নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। তাঁরা হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, যতই ব্যারিকেড দিক, আমরা নবান্ন পৌঁছবই। নবান্ন অভিযানের জন্য ব্যারিকেড দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। আক্রমণ শানিয়েছেন সিবিআইকেও। তাঁদের অভিযোগ, তদন্তের নামে সার্কাস দেখাচ্ছে সিবিআই। আদালতে প্রতিদিন ভর্ৎসিত হচ্ছে সিবিআই। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।
এদিন অভয়ার বাবা বলেন, "তৃণমূল বলছে বিচার পেয়ে গেছি, তাহলে কেন আন্দোলন করছি আমরা। তাঁদের একটাই কথা বলি সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডল গ্রেফতার হলেও বেল পেয়ে গিয়েছে। এরাও কিন্তু অপরাধী। সঞ্জয় রায় একা নয়। আমার মেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির শিকার। সেই দুর্নীতি করেছে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন। এখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য দফতর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী গত বছর ৯ অগাস্ট ঝাড়গ্রাম থেকে বিনীত গোয়েলের সঙ্গে কথা বলে কভার আপ করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তারই প্রতিবাদে এই নবান্ন অভিযান।'' অভয়ার মা বলেন, "সিবিআইয়ের যে ভূমিকা নিয়ে গতকাল বলেছি আপনাদের তুলে দেওয়া উচিত। সিবিআই অপদার্থ। শুধু এটা নয়, সারদা-নারদা থেকে শুরু করলেই বুঝতে পারবেন। এই ৯ তারিখ আমরা প্রতিজ্ঞা থাকবে যাঁরা আমার মেয়ের স্বপ্নপূরণ করতে দেয়নি, আমিও তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে দেব না। যাঁরা আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তাঁদেরও যেন এমন দিন আসে আমি সেটা দেখতে চাই। এই বিচার করতে কোনও গোয়েন্দা সংস্থার প্রয়োজন হয় না। পরের দিন সকাল থেকেই কলকাতা পুলিশ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য কাজ করেছে। আমরা নবান্ন পৌঁছবই। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন।''






















