৬ থেকে এবার ৭ ! জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে যোগ দিলেন অনিকেত মাহাতো
রবিবার রাত থেকে আরও একজন যোগ দিয়েছেন অনশনকারীদের সঙ্গে। তিনি আরজি কর কলেজের অনিকেত মাহাতো।
ঐশী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : বাড়ি আলাদা আলাদা জেলায়, আলাদা আলাদা জায়গায়। মতাদর্শগতভাবেও নানা ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। পড়াশোনাও ভিন্ন ভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু,গত ৯ অগাস্ট থেকে,এরা নিজেরাই একজোট হয়ে, একজোট করেছে গোটা বাংলাকে। লাগাতার কর্মবিরতি করছেন। নানা চাপের মুখেও বিচার ও সুরক্ষার দাবিতে থেকেছেন এককাট্টা। এদের পরিচয় একটাই, এরা আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার। যারা শক্তিমান সরকারকেও ঝুঁকতে বাধ্য় করেছে। এঁদের মধ্যেই ৭ জন এখন ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশনে। রবিবার অবধি ছিলেন ৬ জন। রবিবার রাত থেকে আরও একজন যোগ দিয়েছেন অনশনকারীদের সঙ্গে। তিনি আরজি কর কলেজের অনিকেত মাহাতো।
অনিকেতকে শুরুর দিন থেকেই এই আন্দোলনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন অনিকেত। ঝাড়গ্রামের শিলদায় বাড়ি অনিকেত মাহাতোর। প্রথম থেকে আন্দোলনে একেবারে প্রথম সারিতে। জয়েন্টে প্রস্তুতির জন্য কোচিং নিতে ২০১১-য় কলকাতায় আসা। যে বন্ধুর বাড়িতে থেকে পড়াশুনো করতেন, তিনি জয়েন্ট এন্ট্রান্সে রাঙ্ক করেছিলেন ৯, আর অনিকেতের ব়্যাঙ্ক হয়েছিল ৫৫৭। মেধাবী অনিকেত প্রথম থেকেই নির্যাতিতার প্রতি অন্যায়ের দ্রুত বিচার, দোষীদের কঠোরতম শাস্তি, হাসপাতালে সুরক্ষা পোক্ত করা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতিমুক্ত করার দাবিতে সরব।
ধর্মতলায় ৩৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনশনে করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। অনশনমঞ্চে সিসিটিভি লাগানোর পাশপাশি দুটি এলইডি স্ক্রিনও লাগিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে অনশন মঞ্চের লাইভ স্ট্রিমিং দেখতে পাবেন সকলে। ১০ দফা দাবি নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন ছয় জুনিয়র ডাক্তার। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া তনয়া পাঁজা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় ও স্নিগ্ধা হাজরা অনশন করছেন। রয়েছেন এসএসকেএমের ডাক্তারি পড়ুয়া অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও এনআরএসের পড়ুয়া পুলস্ত্য আচার্য। রবিবার রাতে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো। ৩৫ ঘণ্টা অনশনের পরে রক্তচাপ ও গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে ৭ জনের।
অন্যদিকে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্য়ুর সঙ্গে সঙ্গে, তাঁর বাড়িটাও প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। সেখানে এখন শুধুই অন্ধকার। এবছর বাড়িতে পুজোমণ্ডপ তৈরি না হলেও,বাড়ির বাইরে বাঁধা হচ্ছে মঞ্চ। ষষ্ঠী থেকে চার দিন এখানেই ধর্নায় বসবেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা।
আরও পড়ুন :