RG Kar Victim Family: নয় নয় করে একমাস হতে চলেছে, শিক্ষক দিবসে খোলা চিঠি RG করের নির্যাতিতার মায়ের
RG Kar Case: শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রণাম জানিয়ে, মেয়ের জন্য সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। নয় নয় করে একমাস হতে কাটতে চলেছে। সেই আবহেই, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে খোলা চিঠি দিলেন নির্যাতিতার মা। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রণাম জানিয়ে, মেয়ের জন্য সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। নির্যাতিতার মা যে চিঠি লিখেছেন, তা হল-
'আজ শিক্ষক দিবসে আমি আমার মেয়ের হয়ে ওর সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রণাম জানাই। ওর ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আপনারা ছিলেন সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাণ্ডারী। আমরা তার অভিভাবক হিসেবে পাশে থেকেছি। ও নিজেও অনেক কষ্ট করেছিল। কিন্তু আমি মনে করি, আপনাদের মতো ভাল ভাল শিক্ষকদের পাশে পেয়েছিল বলেই সে তার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন সফল করতে পেরেছিল। তারপর আসি ডিগ্রি। আমার মেয়ে বলত. 'মা আমার টাকা পয়সা চাই না। শুধু চাই নামের পাশে অনেকগুলো ডিগ্রি। আর আমি যেন অনেক অনেক রোগীকে ভাল করতে পারি'। সেদিন বৃহস্পতিবারও ঘর থেকে বেরিয়ে হাসপাতালের অনেক রোগীকে পরিষেবা দেয় এবং কর্তব্যরত অবস্থায় কিছু দুর্বৃত্তদের হাতে বলি হয় এবং চরম নিষ্ঠুরভাবে তার স্বপ্নগুলিকে গলাটিপে হত্য়া করা হয়'। (RG Kar Victim Family)
'অধরা থাকে সেই রাতে লেখা, তার MD-তে গোল্ড মেডেলিস্ট হওয়ার স্বপ্ন। এই নারকীয় কাণ্ড ঘটানোর পরও সব তথ্য়প্রমাণ লোপাট করার সমস্ত ব্য়বস্থা করা হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক তৎপরতায়। এক কন্য়ার মায়ের আকুতি আর্তি, সকল মেডিক্য়াল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক, স্বাস্থ্য়ভবনের কর্তৃপক্ষ, নার্সিং স্টাফ, সবার কাছে বিনীত অনুরোধ ,আপনাদের কাছে যদি কোনও তথ্য়প্রমাণ থাকে তাহলে সেগুলি সামনে আনুন। কারণ কিছু কিছু ভাল মানুষের নীরবতা অপরাধীদের সাহস জোগায় বলে আমি মনে করি। চিকিৎসক সমাজ এবং সাধারণ মানুষ যে আন্দোলন করছেন, তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে এবং শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রণাম জানিয়ে মেয়ের সুবিচারের আশায়'। (RG Kar Case)
এদিনও সংবাদমাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলেন নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি, ঘরে মেয়ের দেহ শায়িত থাকা অবস্থাতেই পুলিশের তরফে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁদের। সেই টাকা নিতে রাজি হননি তাঁরা। রাজ্য সরকারের তরফে এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, তাতে যদিও নির্যাতিতার মা-বাবা টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। এদিন রাজ্য সরকার ভিডিওটি তুলে ধরলে, নির্যাতিতার মা-বাবা জানান, তাঁদের বাধ্য করা হয় টাকার কথা অস্বীকার করতে।