Purba Medinipur: বাইক ও চার-চাকার মুখোমুখি সংঘর্ষ নন্দকুমারে, গুরুতর জখম মহিলা
Road Accident At Nandakumar:ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা নন্দকুমারে। চার চাকার গাড়ির সঙ্গে মোটরবাইকের একেবারে মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হলেন এক মহিলা।

বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা (road accident) নন্দকুমারে (nandakumar)। চার চাকার গাড়ির (car) সঙ্গে মোটরবাইকের (motorbike) একেবারে মুখোমুখি সংঘর্ষে (head on collision) জখম হলেন এক মহিলা। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
মঙ্গলবার বেলা ১১টা। চার চাকার গাড়িটি তখন সজোরে তমলুক থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল। আর উল্টো দিক থেকে আসছিল ওই মোটরবাইক। হঠাৎ মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাইকটিতে এক দম্পতি ছিলেন। সঙ্গে দুটি শিশুও ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের কন্যাগুরুকুলের কাছে ওই ঘটনায় গুরুতর আঘাত লাগে মহিলার। জখম অবস্থায় তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার পর কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথমত, একসঙ্গে এত জন মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন কেন? গতিবেগ কতটা ছিল? ট্র্যাফিক আইন মানা হয়েছিল কি? বস্তুত এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সড়ক দুর্ঘটনা খবর নতুন তো নয়ই, বরং বেশ পরিচিত। কখনও মালদা, কখনও হাওড়া, কখনও বীরভূম, কখনও আবার পূর্ব মেদিনীপুর-ঘুরেফিরেই উঠে আসে নানা জেলার নাম।
মর্মান্তিক পরিণতি বহু ক্ষেত্রে...
সপ্তাহদুয়েক আগেই উলুবেড়িয়ার জগৎপুরে বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল মা-মেয়ের। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সে বার মৃতদেহ আটকে রেখে, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। তাই দ্রুত আন্ডারপাস করে দিতে হবে। এর কয়েক মাস আগে, গত জুলাইয়ে, উলুবেড়িয়াতেই বেপরোয়া বাইক চালাতে গিয়ে প্রাণ যায় দুজনের।উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর অঞ্চলের বেলতলায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অটোর পিছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুই বাইক আরোহীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উলবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় কারও মাথায় হেলমেট ছিল না। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বেপরোয়া বাইক চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা। রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মাইকিং, অনুষ্ঠান, পোস্টার, ব্যানার করে সকল সচেতন করছে পুলিশ প্রশাসন। তারপরেও বেপরোয়া ড্রাইভের নেশা ছাড়তে পারেননি অনেকেই। অনেকে আবার বাইকে বসেও হেলমেট পড়ছেন না।
এদিনের ঘটনায় সেরকম কিছু হয়েছিল কিনা, তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে। আপাতত তমলুক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে জখম মহিলার।
আরও পড়ুন:দেব এমন কিছু করেনি, যে মাথা নিচু করে থাকতে হবে; হিরণকে জবাব






















