Bayron Biswas : "শাসকদলে থাকলে সবদিক থেকে ভাল হয়, প্রশাসনিক সাপোর্ট পাওয়া যায়", বলছেন বায়রন
Sagardighi : বামদের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতেছেন। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই বিশ্বাস ভেঙেছেন বাযরন।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : কোন সুবিধে পেতে দলবদল ? এবার বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন বায়রন বিশ্বাস। বললেন, 'শাসক দলে থাকলে সব দিক থেকে একটু ভাল হয়। শাসক দলে থেকে কাজ করতে সুবিধা হয়।' কংগ্রেসের টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগদান নিয়ে মানলেন বায়রন।
বামদের সমর্থনে কংগ্রেসের প্রতীকে জিতেছেন। কিন্তু জয়ের স্বাদ পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই বিশ্বাস ভেঙেছেন বাযরন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই দলবদলের নেপথ্যে কী কারণ ? ভয় না কি আর্থিক প্রলোভন ? নিরাপত্তার অভাব ? প্রশাসনের সান্নিধ্য ? নাকি, প্রকৃত অর্থেই সাগরদিঘির মানুষের উন্নয়ন ? তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সপ্তাহ ২ পরে সাগরদিঘির বিধায়ক বুঝিয়ে দিলেন, প্রশাসনিক সুবিধে পেতেই দলবদল ! প্রশাসনিক সাপোর্ট না পেলে মানুষের কাজ করবেন কী করে ! তৃণমূল নেতা ও সাগরদিঘির বিধায়ক বললেন, "কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। অভিষেকদা বলেছেন, সেই সুযোগ পাইয়ে দেবেন। কাজ করার অনুমতি খুব তাড়াতাড়ি দেবেন। শাসকদলে থাকলে সবদিক থেকে ভাল হয়। প্রশাসনিক সাপোর্ট ভাল পাওয়া যায়।"
কংগ্রেসের টিকিটে জয়ের পর, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বায়রন। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার তিনদিনের মধ্যেই সেই বায়রনের বাড়ি কার্যত নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে পুলিশ। তাহলে কি প্রশাসনিক সাপোর্টের পাশাপাশি, নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার পেতেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে ? বায়রন অবশ্য তা মানতে চাননি। তাহলে এখন কি দায়িত্ব নিয়ে বলছেন, তৃণমূল আর ছাড়বেন না ? এই প্রশ্নের উত্তরে বায়রন বলেন, "হ্যাঁ, দায়িত্ব নিয়ে বলছি, তৃণমূল আর ছাড়ব না। দিদির কাজকর্ম তো ভালই আছে। আমার ক্ষেত্রে টাকা-পয়সার গল্প নেই।"
যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "বায়রন একাই নয়, তাঁর পরিবারে আরও দুই ভাই আছে। তাঁরা ব্যবসাদার। নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগেই তাঁকে সতর্ক করেছিলাম। সেই সময় দৃঢ়তা দেখিয়েছিলেন। সেই সময় চাপের মোকাবিলা করে, নমিনেশন ফাইল করেছেন, ভোটে জিতেছেন।"
দল বদলের পর অনেকেই বলছেন, সাগরদিঘির মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন বায়রন। তাঁর অবশ্য দাবি, উন্নয়ন পেলেই মানুষ সেসব ভুলে যাবে। তিনি বলেন, জনগণ কাজ চায়। কাজ পেলে সব ভুলে যাবে।
প্রশাসনের সান্নিধ্যে আসতে কি এভাবে মানুষের বিশ্বাস ভাঙা যায় ? জনপ্রতিনিধির কাছে কি জনতা জনার্দনের এটাই মূল্য ? সাগরদিঘির ভাঙা মনে উন্নয়নের প্রলেপ লাগাতে পারবেন বায়রন ? না কি দল বদলের নেপথ্যে জনগণের জন্য কাজের অজুহাত, শুধুই কথার কথা ? উত্তর দেবে সময়।