Saigal Hossain: সিবিআই হেফাজতে সায়গল, সাক্ষী হিসেবে ডেকেও কেন গ্রেফতার? তদন্তকারী অফিসারকে শোকজ
গরু পাচারকাণ্ডের অন্যতম লিঙ্ক ম্যান সায়গল হোসেন। এবার আদালতে এই দাবি করল CBI। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর শুক্রবার, আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে।
কলকাতা: সায়গল হোসেনকে (saigal Hossain), ১৭ জুন পর্যন্ত CBI হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ আদালত। গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling) অন্যতম লিঙ্ক ম্যান ছিলেন সায়গল। আদালতে দাবি করল CBI। সাক্ষী হিসেবে ডেকেও কেন গ্রেফতার? জানতে চেয়ে তদন্তকারী অফিসারকে শোকজ করলেন বিচারক।
গরু পাচারকাণ্ডের অন্যতম লিঙ্ক ম্যান সায়গল হোসেন (saigal Hossain)। এবার আদালতে এই দাবি করল CBI। বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর শুক্রবার, আসানসোলের বিশেষ CBI আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে।
আদালতে ধৃতের আইনজীবী অভিযোগ করেন, সাক্ষী হিসেবে CBI দফতরে ডাকা হয়েছিল সায়গলকে (saigal Hossain)। তাই তিনি আগাম জামিন না নিয়েই হাজিরা দিয়েছিলেন। CBI-এর তদন্তকারী অফিসারের কাছে এর কারণ জানতে চান বিচারক। সদুত্তর না মেলায় তাঁকে শোকজ করে আদালত।
লিখিত জবাব দিতে হবে CBI-এর তদন্তকারী অফিসারকে: ১৭ জুন, পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে লিখিত জবাব দিতে হবে CBI-এর তদন্তকারী অফিসারকে। এদিন শুনানিতে ধৃতের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের আর্জি জানালে, স্বাভাবিকভাবেই তার বিরোধিতা করে CBI। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, গরু পাচারকাণ্ডের (Cow Smuggling) অন্যতম লিঙ্ক ম্যান সায়গল হোসেন! তাঁকে জেরা করেই, বাকি অভিযুক্তদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই সায়গলকে জামিন দিলে সাক্ষ্য-প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে তদন্তেও।
উভয়পক্ষের মতামত শোনার পর, ১৭ জুন পর্যন্ত সায়গলকে CBI হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শুক্রবার দুপুর একটা থেকে শুনানি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তা শুরু হয় ২ ঘণ্টা পর।
সায়গল হোসেনের নিউটাউন তিনটি ফ্ল্যাটের হদিশ: অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের নিউটাউনে (Newtown) তিনটি ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে সিবিআই (CBI)। তিনটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না, প্রচুর জমির দলিল উদ্ধার হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিউটাউনের তিনটি ফ্ল্যাটের মধ্যে ২টি রয়েছে সায়গলের স্ত্রীর নামে, আর একটি পরিচারিকার নামে। সায়গলের স্ত্রী প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। সিবিআই সূত্রে দাবি, সায়গলের যে সব সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার বেশিরভাগই মা ও স্ত্রীর নামে। তাছাড়াও বেনামে আত্মীয় ও পরিচারিকার নামেও সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।