Saline Controversy: স্যালাইনকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে ধস্তাধস্তি, মীনাক্ষী সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Meenakshi Mukherjee: মীনাক্ষী সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ জমায়েত ঘটিয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

কলকাতা: স্যালাইনকাণ্ডে (Saline Controversy) মেদিনীপুরে প্রতিবাদ মিছিলে ধস্তাধস্তিকাণ্ড। আর সেই ঘটনায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু। অবৈধ জমায়েত ঘটিয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ।
জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা: স্যালাইনকাণ্ডে প্রতিবাদ মিছিলে ধস্তাধস্তির ঘটনায় DYFI নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করল পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানার পুলিশ। মীনাক্ষী সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অবৈধ জমায়েত ঘটিয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। কালো তালিকাভুক্ত সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি নিম্নমানের রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন ব্যবহারের ফলে প্রসূতি মৃত্যু ও প্রসূতি সঙ্কটাপন্ন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর মেডিক্যালে। ওই ঘটনায় যথোপযুক্ত তদন্ত ও মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বুধবার মেদিনীপুর শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে সিপিএমের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠন। মিছিল পঞ্চুর চক থেকে রিং রোড হয়ে জেলাশাসক অফিসে পৌঁছলে পুলিশ তা আটকে দেয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় পুলিশের।
পুলিশের করা মামলায় মীনাক্ষীদের বিরুদ্ধে পুলিশকর্মীদের হেনস্থা, গালিগালাজ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আঘাত করা, ইট-পাথর ছুড়ে পুলিশের সুরক্ষা সরঞ্জামের ক্ষতি করা, এমন নানাবিধ অভিযোগ আনা হয়েছে। এপ্রসঙ্গে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, "যখনই দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা লড়েছি, তখনই পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আমাদের বিরুদ্দে ষড়যন্ত্র করছে। পুলিশ লাথি হাতে দাঁড়িয়েছিল। আন্দোলনকারীরা বসেছিল। ওখানে হামলা করলে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে যেত।''
এর আগে গত ১২ জানুয়ারি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সুপারের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায় SFI-DYFI। সুপারের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের সদস্যরা। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নেতৃ্ত্বে বটতলা চকে পথ অবরোধ করা হয়। এরপর মীনাক্ষী-সহ SFI-DYFI সদস্যরা কোতোয়ালি থানায় যান। সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের আগে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার IC-র সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান DYFI নেত্রী। IC-কে ডিউটি অফিসারের চেয়ারে বসিয়ে স্যালাইনকাণ্ডে সুপারকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।






















