Sandhya Mukhopadhyay Passes Away: ভারতরত্ন বললে ভুল হবে না, শেষ বয়সে ধাক্কা খেয়েছেন, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
Sandhya Mukhopadhyay Demise: পদ্মশ্রী সম্মানের। কিন্তু তার ওপরে আরও দু-তিনটি পুরস্কার আছে। সেই পুরস্কারগুলো তাঁর অনেকদিন আগে প্রাপ্য ছিল। জীবনের শেষ বয়সে তিনি একটা ধাক্কা খেয়েছেন, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
আশাবুল হোসেন, কোচবিহার: কোচবিহারে (Cooch Behar) বীর চিলা রায়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি মাল্যদান করলেন বীর চিলা রায়ের মুর্তিতে। এরপর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের (Sandhya Mukhopadhyay) প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সন্ধ্যাদি আমার খুব পছন্দের মানুষ। খুব প্রিয় মানুষ। ওঁকে ভারতরত্ন (Bharat Ratna) বললে ভুল হবে না। হয়তো জীবনে কিছুই পায়নি। কিন্তু মানুষের যে ভালবাসা, তা কখনও একটা পদ্মশ্রী (Padma Shri) বা একটা হতশ্রীতে হয় না। পদ্মশ্রী একটা সম্মানের, হতশ্রী আমরা বিপরীত শব্দ ব্যবহার করি। কিন্তু পদ্মশ্রী আর হতশ্রী এক নয়। পদ্মশ্রী সম্মানের। কিন্তু তার ওপরে আরও দু-তিনটি পুরস্কার আছে। সেই পুরস্কারগুলো তাঁর অনেকদিন আগে প্রাপ্য ছিল। জীবনের শেষ বয়সে তিনি একটা ধাক্কা খেয়েছেন। তিনি অসম্মানিত বোধ করেছেন। আমরা তার জন্য ব্যথিত, শোকাহত, মর্মাহত। আমি যাব, তারপর তাঁর মরদেহ নিয়ে বেরোব। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গান স্যালুট দিয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করব।’
বাপি লাহিড়ির প্রয়াণেও শোকপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, বাপি লাহিড়ির মৃত্যু সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি। বাপি লাহিড়ি হিন্দির পাশাপাশি অনেক বাংলা গানও করেছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চিলা রায়ে সম্মানেই রাজ্য পুলিশে নারায়ণী সেনা ব্যাটেলিয়ান তৈরি হয়েছে। বীর চিলা রায়ের গ্র্যান্ড স্ট্যাচু তৈরি করবে রাজ্য সরকার। ১৫ ফুটের বীর চিলা রায়ের মূর্তি বসানো হবে। কোচবিহারের বাবুরহাটে বসবে বীর চিলা রায়ের স্ট্যাচু। বীর চিলা রায়ের নামে রাস্তা হবে। নারায়ণী সেনারা চাইলে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। নারায়ণী সেনাদের জন্য ৭০০-৮০০ সরকারি চাকরির ব্যবস্থা হবে। সামাজিক কর্মসূচিতে বিভিন্নভাবে তারা অংশ নিতে পারবে। কামতাপুরী ভাষা উন্নয়নের জন্য আলাদা বোর্ড হবে। আগামীদিনে কোচবিহার, নবদ্বীপ হেরিটেজ শহর হবে। রাজবংশী ভাষায় ২০০ স্কুল তৈরির পরিকল্পনা। শেষ জীবনে পদ্মশ্রী দেওয়ায় অসম্মানিত বোধ করেছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।’