Calcutta High Court : আদালতের নজরদারিতে এবার থেকে হবে পুর নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্ত, নির্দেশ হাইকোর্টের
Municipality Job Scam : 'টাকা কোথায় গেল ? দুর্নীতির মাথায় কে ?' সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি-তদন্তে গঠিত সিবিআই সিট-ই তদন্ত করবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির, এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি আদালতের নজরদারিতে এবার থেকে হবে পুর নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্ত, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিন্হার (Justice Amrita Sinha)। পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তকারী আধিকারিক সুনীল সিংহ রাওয়াতকে সিটে অন্তর্ভুক্ত করল আদালত। সঙ্গে সিবিআইকে (CBI)।
'টাকা কোথায় গেল ? দুর্নীতির মাথায় কে ? আপনারা নীচ থেকে উপরে উঠছেন, উপর থেকে নীচে নামতে অসুবিধা কোথায় ? আপনাদের কে বাধা দিচ্ছে ?' সিবিআইকে এমনই কড়া প্রশ্ন বিচারপতি অমৃতা সিন্হার। সঙ্গে খানিক উষ্ণা প্রকাশ করেই আদালতের বিচারপতির বক্তব্য, 'আপনাদের তদন্তে কি আদৌ কোনও অগ্রগতি আছে ? একই ধরনের সব রিপোর্ট দিচ্ছেন, পুরনো তথ্যে ভরা ! নতুন অগ্রগতি কোথায় ? শুধুমাত্র পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় একটু হুড়োহুড়ি হল, তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়লেন ? '
প্রাথমিক ও পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্নের মুখে সিবিআই। পাশাপাশি 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে তদন্ত কতদূর ? ' ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিচারপতি অমৃতা সিন্হার। এদিকে, উঠে আসে তথ্য ডাউনলোড বিতর্কও। যেখানে ইডি জানায়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে তল্লাশির সময় তদন্তকারী আধিকারিক সেখানকার কম্পিউটারে কিছু ব্যক্তিগত বিষয় ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করেছিলেন। সেই কম্পিউটার বাজেয়াপ্তও করা হয়নি। থানায় GD হয়েছে। যার পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, এই ধরনের আধিকারিককে কেন সিট থেকে সরিয়ে দেবো না ? এই ধরনের একটা মামলায় এত ঢিলেঢালা মনোভাব কেন ? ইন্টারনেটের জন্য কম্পিউটার কেন দরকার, এখন তো ফোনেই সব আছে।
এদিন শুনানি চলাকালীন ওঠে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি, পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের প্রসঙ্গও ওঠে। বিচারপতি বলেন, মানিক ভট্টাচার্য তো একা এই দুর্নীতি করেননি। তিনি ছাড়াও আরও ব্যক্তি আছে। কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন ?উত্তরে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, এটা একটা ঠান্ডা মাথায় করা দুর্নীতি। জাল ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছিল। বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, শুধু ২৬৪ জনই নয়, বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে আরও অনেকে আছেন। সেই তালিকা কোথায় ? আরও কয়েকজনের নাম রিপোর্টে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় সিবিআই