Kuntal And Santanu:স্কুল-কলেজের ফলকে নাম শান্তনু-কুন্তলের, ঢাকতে ব্যস্ত কর্তৃপক্ষ
Recruitment Scam:নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়দের যাতায়াত ছিল স্কুল, কলেজের অন্দরমহল অবধি।বলাগড় কলেজ থেকে জিরাট কলোনি হাই স্কুলে মনীষীদের মূর্তির নীচে ফলকে লেখা ছিল কুন্তল-শান্তনুদের নাম।

অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh), শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়দের (Santanu Banerjee) যাতায়াত ছিল স্কুল, কলেজের অন্দরমহল অবধি। বলাগড় কলেজ থেকে জিরাট কলোনি হাই স্কুলে মনীষীদের মূর্তির নীচে ফলকে (Plaque) লেখা ছিল কুন্তল-শান্তনুদের নাম। এখন গ্রেফতারির পর সেই নাম ঢেকে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
যা ছবি...
নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং কুন্তল ঘোষ। যাঁদের মধ্য়ে একজন ছিলেন তৃণমূলের নেতা। আরেকজন ছিলেন যুব তৃণমূলের সম্পাদক। লাগাতার প্রশ্নের মুখে, সদ্য় তাঁদের দুজনকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। তবে কুন্তল ও শান্তনুর বিরুদ্ধে শুধু বাইরে থেকে স্কুলের চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, এমন নয়! তাঁরা দুজনই একেবারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরেও ঢুকে পড়েছিলেন! তাঁদের নাম লেখা হয়েছিল ফলকে! যা ঢাকতে এখন কার্যত মরিয়া কর্তৃপক্ষ! বলাগড় কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেই সময়ে কলেজে আশুতোষ মুখোপাধ্য়ায়ের একটি মূর্তি উদ্বোধন করেন তিনি! মূর্তির নীচে ফলকে, উদ্বোধক হিসেবে শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নামও লেখা ছিল। শান্তনুর গ্রেফতারির পর ফলকে তাঁর নামের ওপর সাদা কাগজ সেঁটে দেওয়া হয়েছে। বলাগড় কলেজের অধ্যক্ষ প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, 'ওঁদের নাম জড়িয়েছে। তাই কলেজের নাম জড়িয়েছে।' কলেজে শান্তনু তো স্কুলে কুন্তল। জিরাট কলোনি হাই স্কুলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই মূর্তির নীচে ফলকে কদিন আগেও জ্বলজ্বল করছিল নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের নাম। এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। যিনি তৃণমূলের অধ্য়াপক সংগঠন ওয়েবকুপার সদস্য়। তাঁর আঁকা একটি ছবি কিনেছিলেন কুন্তল ঘোষ। সেই টাকায় স্কুলে বসেছিল কবিগুরুর এই মূর্তি! মূর্তির নীচে সমাজসেবী হিসেবে লেখা ছিল কুন্তল ঘোষের নাম। কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর, সেই নামের ওপর সাদা কালি লেপে দেওয়া হয়েছে। এর আগে কসবার ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের গ্রেফতারির পর, সামনে এসেছিল এরকমই একটি মূর্তি! সেখানেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির নীচে ফলকে তৃণমূলের হেভিওয়েটদের সঙ্গে ভুয়ো IAS দেবাঞ্জনের নাম ছিল। এবিপি আনন্দ সেই ছবি দেখানোর পর, সেই ফলক ভেঙে ফেলা হয়। নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডেও সেই ঘটনার ছায়া দেখা গেল।






















