Sealdah Train Accident: কর্মীর ভুল, শিয়ালদার ট্রেন দুর্ঘটনায় খালি ট্রেনের চালকের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেই দায়ী করছে তদন্ত কমিটি
শিয়ালদা স্টেশনের কাছে দুটি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনায় সাসপেন্ডেড চালককে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য। খালি ট্রেনের চালকের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেই দায়ী করছে রেলের ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
কলকাতা: প্রাথমিকভাবে কর্মীর ভুলেই দুর্ঘটনা, চালক পেরিয়ে গিয়েছিলেন ফাউলিং মার্ক। শিয়ালদা স্টেশনের (Sealdah Railway Station) কাছে দুটি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনায় সাসপেন্ডেড চালককে জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য। খালি ট্রেনের চালকের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেই দায়ী করছে রেলের ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি। গতকাল যাত্রী বোঝাই রানাঘাট লোকালের সঙ্গে পাশাপাশি ধাক্কা লাগে কারশেডমুখী খালি ট্রেনের। দুর্ঘটনার পরে বেশ কয়েক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বুধবার শিয়ালদা স্টেশনের কাছে পাশাপাশি ধাক্কা লাগে দু’টি চলন্ত ট্রেনের। এই ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকে পরিষেবা। লাইন ধরে হেঁটে হেঁটে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছোতে হয় যাত্রীদের। স্টেশনে বিঘ্ন ঘটার কারণ ঘোষণা করা হয়নি কেন? এই প্রশ্ন তুলেও ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা।
বুধবার শিয়ালদা স্টেশনের কাছেই পাশাপাশি ধাক্কা লাগে দু’টি লোকাল ট্রেনের। ট্রেনের গতি কম ছিল বলে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে কোনওক্রমে থেকে রক্ষা পান যাত্রীরা। তবে আচমকা ঝাঁকুনিতে ছড়ায় আতঙ্ক। আর এই দুর্ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ পরিষেবা স্তব্ধ থাকায় চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হল হাজার হাজার যাত্রীকে। অনেক বয়স্ক যাত্রীকেও প্রায় দু’ঘণ্টা লাইন ধরে হেঁটে, পৌঁছতে হল শিয়ালদা স্টেশনে।
বুধবার বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ, শিয়ালদা স্টেশন ছেড়ে আসার পরই, পাশাপাশি ধাক্কা লাগে যাত্রীবোঝাই আপ রানাঘাট লোকাল এবং কারশেডগামী লোকাল ট্রেনের। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ স্তব্ধ হয়ে যায় ট্রেন পরিষেবা। পরপর দাঁড়িয়ে পড়ে শিয়ালদাগামী ডাউন ট্রেন। কেউ ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিলেন, কেউ অফিসে। কিছু বুঝতে না পেরে, অনেকে বাধ্য হয়ে ট্রেন থেকে নেমে, লাইন ধরেই হাঁটতে শুরু করেন।
এর মধ্যে ছিলেন অনেক বয়স্ক যাত্রীও। তাঁদেরও মাঝপথেই ট্রেন থেকে লাইনে নামতে হয়। একঘণ্টা, দেড়ঘণ্টা হেঁটে তাঁরা শিয়ালদায় পৌঁছোন। শিয়ালদা স্টেশনের আগে কারশেডের কাছেও, বহু যাত্রী বাধ্য হয়ে, ট্রেন থেকে নেমে পড়েন। তারপর লাইন ধরে হেঁটে তাঁরা পৌঁছোন শিয়ালদা স্টেশনে। যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকলেও, পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটার কারণ সম্পর্কে কোনও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে কেউ কিছুই বুঝতে পারেননি। দুর্ঘটনার জেরে শিয়ালদা থেকেও দীর্ঘক্ষণ কোনও ট্রেন ছাড়েনি। ফলে সেখানেও হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। অবশেষে দুপুর দু’টোর পরে আস্তে আস্তে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে।