ED Sandeshkhali: রেশন দুর্নীতি তদন্তে বারবার 'আক্রান্ত' ইডি, সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে বাড়ছে নিরাপত্তা
Ration Scam: সিজিও কমপ্লেক্সে ধাপে ধাপে আনা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। কেন? কী কারণ?
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam Case) গতকাল সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এবং বনগাঁয় গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ED। তারপরই বাড়ানো হল সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সের নিরাপত্তা। ধাপে ধাপে আনা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের।
গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পর, CGO কমপ্লেক্সে রাখা হয় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে। এদিন জোকার ESI হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্যে নিয়ে যাওয়ার সময়, ৩টি কনভয়ে ছিলেন ১০ জন CRPF জওয়ান।
এদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করল ED। গতকাল রাতে রাজ্য পুলিশের DG রাজীব কুমার ও বসিরহাট পুলিশ জেলার SP জোবি থমাসের কাছে ই মেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। অভিযোগে উল্লেখ, কোর্ট ওয়ারেন্ট নিয়ে গতকাল রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গেলে ED-র আধিকারিকরা আক্রান্ত হন। মারধর, গাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি, ED-র অফিসারদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, টাকাপয়সা ও গোপনীয় নথিও ছিনতাই করা হয়। ৩ জন ED আধিকারিক হাসপাতালে ভর্তি। পূূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি। ED সূত্রে দাবি, পুলিশের কাছে অভিযোগের সঙ্গে হামলার সময়ের ফুটেজ পাঠানো হয়েছে। যাতে হামলাকারীদের শনাক্ত করা সহজ হয়। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রয়োজনে NIA তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে ED।
আরও পড়ুন, সন্দেশখালির ঘটনায় ED-র বিরুদ্ধেই FIR পুলিশের! শাহজাহানের কেয়ারটেকারের অভিযোগেই মামলা?
অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় ED-র বিরুদ্ধেই FIR পুলিশের। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল ন্যাজাট থানার পুলিশ। অভিযোগে উল্লেখ, গতকাল না জানিয়ে এবং ওয়ারেন্ট ছাড়াই শেখ শাহজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন ED-র অফিসাররা। এ ছাড়াও, সন্দেশখালির ঘটনায় আরও দুটি FIR হয়েছে। ED-র অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে FIR। বেপরোয়া অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত আরেকটি মামলা করেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। সেখানে সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা, ভাঙচুর ও সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।