Ayan Sil:নগরোন্নয়ন বিভাগের আধিকারিকের মেয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপ অয়ন শীলের ছেলের? খবর ইডি সূত্রে
Recruitment Scam:আদালতে অয়ন শীল সম্পর্কে ফের চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি। রাজ্য সরকারের আরবান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের আধিকারিকের মেয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপ ছিল অয়নের ছেলের, খবর সূত্রে।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: আদালতে অয়ন শীল (Ayan Sil) সম্পর্কে ফের চাঞ্চল্যকর দাবি করল ইডি (ED)। রাজ্য সরকারের আরবান ডেভেলপমেন্ট (Urban Development) বিভাগের আধিকারিকের মেয়ের সঙ্গে পার্টনারশিপ ছিল অয়নের ছেলের, খবর সূত্রে। এই সূত্রে রাজ্য সরকারের আরবান ডেভেলপমেন্ট বিভাগের আধিকারিক বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে। এই বিভাসের মেয়ে ইমনের সঙ্গেই অয়নের ছেলের ব্যবসার পার্টনারশিপের ফর্ম উদ্ধার করেছে ইডি, এমনই প্রাথমিক ভাবে খবর।
কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, হুগলির একটি পেট্রোল পাম্পেও অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীলের পার্টনার ছিলেন ইমন। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা নয়ছয়ের তথ্য মিলেছে বলে দাবি ইডি-র। গোটা পর্বে বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে। শুধু ২০১৪-এর টেট নয় ২০১২-এর টেটেও টাকা তোলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিকে এদিনই অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীকে তলব করেছেন তদন্তকারীরা। অয়নের ছেলে অভিষেক শীল, স্ত্রী কাকলি শীলকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর। ৩ জনকেই আগামী সপ্তাহে তলব করা হয়েছে।
অভিযোগ চয়নিকার...
টিটাগড় পুরসভায় চাকরি হয়নি অয়ন শীলকে ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায়, এবিপি আনন্দে আগেই এমন অভিযোগ জানিয়েছিলেন চয়নিকা আঢ্য। গত কাল এ নিয়ে চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চয়নিকা। অভিযোগের ২৪ ঘণ্টা পরেও এফআইআর দায়ের হয়নি, অভিযোগ পরিবারের। পুলিশ এফআইআর না করলে আদালতের দ্বারস্থ হব, জানিয়েছে চয়নিকার পরিবার। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ইডি, খবর সূত্রের। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই মামলার চার্জশিটে ইডি দাবি করেছিল কুন্তল ঘোষ একাই তুলেছিলেন ১০০ কোটি। নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তলের জীবনের শুরুটা ছিল অন্যরকম। একটি উড়ান সংস্থার গ্রাউন্ড ক্রু হিসেবে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন কুন্তল। কখনও কোনও ইনস্টিটিউট খুলেছেন। কখনও আমদানি-রফতানির সংস্থা খুলেছেন। কখনও জমির দালালি করেছেন। কিন্তু রকেটগতিতে তার উত্থান নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানোর পরেই। এই সময়েই হু হু করে বেড়ে যায় তাঁর উপার্জন, এমনটাই দাবি ইডির। চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে যে তাপস মণ্ডলের একটি ডায়েরিও পাওয়া গেছে। যার ৫০ নম্বর পাতায় অনেক হিসেব লেখা আছে। পাতার হেডিং "অর্গ্য়ানাইজার"। ডায়েরির ৫১ ও ৫২ নম্বর পাতায় হেডিং ছিল "আপার"। ফলে প্রশ্ন উঠছে, এই বিপুল অঙ্কের টাকা কি কুন্তলব ঘোষের কাছে গেছিল? এভাবেই কি উড়ান সংস্থার সামান্য় গ্রাউন্ড ক্রিউ থেকে একশো কোটির মালিক হয়ে উঠেছিলেন তিনি? কুন্তল হয়ে টাকা আর কার কার কাছে পৌঁছেছিল? ইডির দাবি অনুযায়ী, সাড়ে তিনশো কোটির এই দুর্নীতির টাকায় লাভবান হয়েছেন আরও অনেকে। তারা কারা? কবে সামনে আসবে? চলছে উত্তরের অপেক্ষা।