(Source: Poll of Polls)
Sikkim Situation Update: বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সিকিম, লাচুং থেকে সরানো হল পর্যটকদের
Sikkim Evacuation: উত্তর সিকিমে লাগাতার বৃষ্টি। তার জেরে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জলস্তর। এই আবহে এবার লাচুং থেকে পর্যটকদের সরানোর কাজ শুরু হল।
নয়াদিল্লি: প্রচন্ড বৃষ্টির জেরে সিকিমে (Sikkim Situation Update) আটকে রয়েছে প্রায় হাজার জন পর্যটক। তাঁদের ফেরাতে এবার তৎপর হল প্রশাসন। লাচুং থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সিকিমের মঙ্গান থেকে পর্যটকদের সড়কপথে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
লাচুং থেকে সরানো হল পর্যটকদের: উত্তর সিকিমে লাগাতার বৃষ্টি। তার জেরে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তার জলস্তর। ফুঁসছে উত্তরবঙ্গের অন্য নদীগুলিও। জল ঢুকেছে নদী-তিরবর্তী এলাকায়। কার্যত বিপর্যস্ত জনজীবন। ধস নেমে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে যান চলাচল বিপর্যস্ত। মঙ্গানের জেলাশাসক হেম কুমার ছেত্রীর নেতৃত্বে ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ সিকিম (TAAS) সহ পর্যটন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল এবং বন দফতরের আধিকারিকদের সাহায্যে এই উদ্ধারকাজ করা হয়।
ভয়ঙ্কর তিস্তা, বিপদসীমার কাছাকাছি বইছে জল। নদীপাড় সংলগ্ন একের পর এক এলাকায় নামছে ধস। বিপজ্জনকভাবে পাহাড় থেকে যখন তখন খসে পড়ছে বোল্ডার। টানা বৃষ্টির জেরে লাগাতার ধসে বন্ধ পাহাড়ের লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। একদিকে যখন বৃষ্টির জন্য হাপিত্যেশ করছে দক্ষিণবঙ্গ। ঠিক তখনই টানা বৃষ্টিতে একের পর এক পাহাড়ি নদীর জলস্তর বেড়ে ভাসছে উত্তরবঙ্গ। জলের তলায় চলে গেছে রাস্তা থেকে রেললাইনের একাংশ। কার্শিয়ং পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ধোবিখোলায় ১১০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়েও বইছে জল। গতকাল, কালিম্পঙের নিকোবির এলাকায় নতুন করে ধস নামে। এখনও বন্ধ দার্জিলিং-কালিম্পং সংযোগকারী রাস্তা। বিকল্প পথ হিসাবে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে লাভা ও বাগরাকোট দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়ং-সহ পাহাড় ঘেঁষা একের পর এক জেলার বাসিন্দাদারা দিন কাটাচ্ছেন কার্যত জলবন্দি অবস্থায়। ইতিমধ্যেই বৃষ্টি-বিপর্যয়ে উত্তর সিকিমের লাচুংয়ে আটকে পড়া প্রায় বারোশো পর্যটককে উদ্ধার করে গ্যাংটকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আবহাওয়ার খানিকটা উন্নতি হলেই তাঁদের বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে দেওয়া হবে গন্তব্যে।
যদিও এখনই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি থামার কোনও সম্ভাবনা নেই, এমন আশঙ্কার কথা আগেই শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গতকালই আবহাওয়াবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, "১৬ থেকে ১৮ তারিখ, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, এই সাইডটায় ভারী থেকে অতিভারী থেকে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। দার্জিলিং, কালিম্পঙেও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে ১৬ থেকে ১৮। উত্তরের জেলাগুলির জন্য নদীর জলস্তর আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কাঁচা রাস্তা বা কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। নিচু এলাকায় জল জমার সম্ভাবনা, জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। পাহাড়ি এলাকায় বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পঙে ভূমিধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।