(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Nitin Gadkari: শিলিগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে হঠাত্ অসুস্থ নীতিন গড়কড়ি
Nitin Gadkari : শিলিগুড়িতে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে অসুস্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি।
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়িতে (Siliguri) ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে অসুস্থ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি (Nitin Gadkari)। মঞ্চ থেকে নামিয়ে আনা হয় কেন্দ্রীয় সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রীকে। মঞ্চের নীচে অস্থায়ী গ্রিন রুমে তাঁর চিকিৎসা চলছে। প্রাথমিকভাবে চিকিত্সা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা মেডিক্যাল টিম (Mediacal Team)। এরপর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের আনা হয়। সূত্রের খবর, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যাওয়াতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নীতিন গড়কড়ি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মনমোহনের প্রশংসা শুনতে পাওয়া যায় নীতিন গড়কড়ির মুখে। যদিও নভেম্বরের আগে অবধি প্রেক্ষাপটটা ছিল আলাদা। কখনও 'মৌন মোহন' বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। কখনও আবার বিদ্ধ হয়েছেন 'গাঁধী পরিবারের হাতের পুতুল' কটাক্ষে। কিন্তু বিজেপি-তে (BJP) থেকেও, দলের তুলনায় সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থান নিতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকে । প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে (Manmohan Singh) প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন তিনি। জানালেন, মনমোহনের হাতে যে অর্থনৈতিক সংস্কার (Economic Reforms) ঘটেছে, তার জন্য় ওঁর কাছে চিরকাল ঋণী থাকবে দেশ। চলতি মাসের শুরুর দিকে একটি অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমন মন্তব্য করেন নীতিন গড়কড়ি। সেখানে উদার অর্থনীতির পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। জানান, দরিদ্র মানুষের সুবিধার্থে উদার অর্থনীতিই বেছে নেওয়া উচিত ভারতের। ১৯৯১ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এই অর্থনৈতিক সংস্কারের কাজ শুরু করেন। ভারতকে উদার অর্থনীতির রাস্তা দেখান তিনিই। উদার অর্থনীতির (Liberal Economy) পক্ষে সওয়াল করতে গিয়েই গডকরীকে মনমোহনের প্রশংসা করতে শোনা যায়। তিনি বলেন, "উদার অর্থনীতিই ভারতকে নতুন রাস্তা দেখিয়েছে। তার জন্য গোটা দেশ মনমোহন সিংহের কাছে ঋণী।'
আরও পড়ুন, 'বোমা-অস্ত্র এখন কুটির শিল্প', রাজ্যেকে খোঁচা দিলীপের
শুধু মনমোহনই নন, পড়শি দেশ চিনকে দেখে শেখার কথাও বলতে শোনা যায় নীতিন গড়কড়িকে। তাঁর মতে, উদার অর্থনীতির উপর ভর করে যে উন্নতির শিখরে পৌঁছনো যায়, তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ চিন। অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি করতে হলে ভারতকেও ব্যয় বাড়াতে হবে। এর উদাহরণ দিতে গিয়ে, নয়ের দশকের প্রসঙ্গ টেনে আনেন গড়কড়ি। জানান, নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় মহারাষ্ট্রে মন্ত্রী ছিলেন তিনি। মনমোহনের অর্থনৈতিক সংস্কারের সুফল পেয়েছিল মহারাষ্ট্রও। সেই সময় রাস্তা নির্মাণে টাকা তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। কৃষক এবং দরিদ্র মানুষকে টেনে তুলতেই উদার অর্থনীতি প্রয়োজন বলে মত গড়কড়ি।