Asima Patra : 'একটা প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ গেলে, ধনেখালিতে একটা বিজেপি থাকতে পারবে না', হুঙ্কার অসীমা পাত্রর
SIR Issue: তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।

ধনেখালি : বিহারের পর এবার বাংলায় SIR-প্রস্তুতি। এরাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এই আবহেই ভোটার তালিকায় SIR ইস্যুতে এবার রীতিমতো হুঙ্কার শোনা গেল ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের গলায় (TMC MLA Asima Patra)। তিনি বিজেপিকে হুমকি দিয়ে বলেন, "ধনেখালিতে যদি একটা প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, ধনেখালিতে একটা বিজেপিকে বাড়িতে থাকতে দেওয়া যাবে না। থাকতে দেব না।"
অসীমার কথায়, "SIR করতে আসছে...। SIR এখনও হল না। বাংলায় SIR এখনও হয়নি। তার আগেই বিজেপির নেতারা কী বলছেন ? বিজেপি নেতাদের কেউ বলছেন, এক কোটি নাম বাদ যাবে। কেউ বলছেন, দেড় কোটি বাদ যাবে। কী করে জানলেন ? SIR তো এখনও হয়নি। কী করে জানলেন ? আমাদের এটা বক্তব্য। কোন ঘরে বসে চক্রান্ত হয়েছে ? আমি ধনেখালির একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে বলতে চাই, ধনেখালিতে যদি একটা প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ যায়, ধনেখালিতে একটা বিজেপিকে বাড়িতে থাকতে দেওয়া যাবে না। থাকতে দেব না। জেনে রাখুন। একটা প্রকৃত ভোটারের নাম যদি বাদ যায়, ধনেখালিতে একটা বিজেপি থাকতে পারবে না। এটা কান খুলে শুনে নিন।"
তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পাল বলেন, "তার মানে কি ধরে নিতে হবে যে তিনি অবৈধ ভোটার, ভুয়ো ভোটার, মৃত ভোটার...এদের ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বলে তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ? নির্বাচন কমিশন একটা স্বাধীন, স্বতন্ত্র, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। মাননীয় বিধায়ক কি তাহলে নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিচ্ছেন ? নাকি বিজেপি, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল, সারা ভারতের বৃহত্তর রাজনৈতিক দলকে হুমকি দিচ্ছেন ? নাকি, তাঁর পায়ের তলা থেকে মাটি ক্রমশ সরে যাচ্ছে ? যদি আজ এসআইআর হয়, তাহলে তিনি আর ভুয়ো ভোটার দিয়ে নির্বাচন জিততে পারবেন না, তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে...তারজন্য তিনি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আজ বিজেপিকে হুমকি দিচ্ছেন। কিন্তু, বাংলার মানুষ-ধনেখালির মানুষ এই হুমকির পরোয়া করেন না। আগামী '২৬-এর নির্বাচনে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত করে ছাড়বেন।"
রবিবার রামপুরহাটে ছিল তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। সেখান থেকেই SIR- ইস্য়ুতে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন অনুব্রত মণ্ডল ও সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।






















