KMC Snake Fear: কলকাতা পুরসভায় ফের সাপ দেখা গেল, মেয়রের ঘরেও খোঁজাখুঁজি, ফিরহাদ বললেন, 'আমিই ধরে নিতাম'
Kolkata News: বনদফতরের কর্মীরা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরে পৌঁছন বৃহস্পতিবার। সাপের খোঁজে সেখানে তল্লাশি চালান তাঁরা।
কলকাতা: ফের কলকাতা পুরসভায় সাপের দেখা মিলল। পুরসভার দোতলায় ক্লাবরুমের বাইরে, বারান্দায় দেখা মিলল সাপের। একদিন আগেই ডেপুটি মেয়রের ঘরে সাপকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। বার বার সাপের দেখা পেয়ে আতঙ্কিত পুরসভার কর্মীরা। বনদফতরের কর্মীরা মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরে পৌঁছন বৃহস্পতিবার। সাপের খোঁজে সেখানে তল্লাশি চালান তাঁরা। (KMC Snake Fear)
কলকাতা পুরসভায় এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন সাপ দেখা গেল। এর আগে, বুধবার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের ঘরে একটি সাপকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এর পর বৃহস্পতিবার সকালে কাউন্সিলরদের ক্লাবরুমের বাইরের বারান্দায় সাপ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সেখান থেকে সাপ ধরতে ছুটে আসেন লোকজন। মেয়রের ঘরেও চলে সাপের খোঁজ। (Kolkata News)
এদিন কলকাতা পুরসভার সর্বত্র সাপের খোঁজ চালান চিড়িয়াখানা থেকে ছুটে আসা লোকজন। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরেও যান। কথা বলেন ওএসডি-র সঙ্গেও। কলকাতা পুরসভায় এ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও চিড়িয়াখানার কর্মীরা জানিয়েছেন, যে সাপ দেখা গিয়েছে, তা বিষধর নয়। কিন্তু তাতেও ভরসা পাচ্ছেন না পুরসভার কর্মীরা। খাস কলকাতার বুকে সাপের দৌরাত্ম্যে আতঙ্কিত তাঁরা।
এ নিয়ে মেয়র ফিরহাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, "সাপ নয়, দড়ি দেখে ভয় গিয়েছে।" সাপের ভিডিও সামনে এসেছে বলে জানালে মেয়র বলেন, "থাকতেই পারে। আমি জানি না। সাপ হলে আমিই ধরে নিতাম।" এদিন যদিও সাপের দেখা পাওয়ার খবরে ঘটনাস্থলে পৌঁছন অতীন। কোথায় দেখা যায় সাপ, জানতে চান তিনি। ঘুরেও দেখেন এদিক ওদিক। উদ্বেগের যে যথেষ্ট কারণ রয়েছে, তা স্বীকার করে নেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমে অতীন বলেন, "অস্বাভাবিক ঘটনা। এটা পুরনো বিল্ডিং, বয়স প্রায় ১৫০ বছর। কী করে সাপ এল, তা বোঝা যাচ্ছে না। বন দফতরও এসেছে। কিন্তু এটা খুবই চিন্তার। এত মানুষ কাজ করেন। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। আজও এসেছিল বন দফতর, আজ কনফারেন্স রুনের কাছে পাওয়া যায়। গতকাল আমার ঘরের কম্পিউটার রুমের কোনও ফুটো দিয়ে হয়ত ঢুকে পড়েছিল। সেটাই আজ আবার বেরিয়েছিল, না নতুন করে আরও সাপ ঢুকেছে, তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।" পুরসভার কর্মীরাও চাইছেন এর বিহিত হোক বলে। এভাবে কাজ চালিয়ে যেতে ভরসা পাচ্ছেন না তাঁরা।