South 24 Parganas:আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী প্রৌঢ়া, বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম ছেলে
Woman Commits Suicide:আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী এক গৃহবধূ। বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হলেন ছেলেও। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার সুভাষগ্রাম এলাকায়।

রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আগুন (immolation) লাগিয়ে আত্মঘাতী (suicide) এক গৃহবধূ (housewife)। বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম (injured) হলেন ছেলেও (son)। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর (sonarpur) থানার সুভাষগ্রাম এলাকায়। প্রতিবেশীরা দুজনকেই উদ্ধার করে স্থানীয় সুভাষগ্রাম ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার নাম কল্পনা ব্রহ্মচারী বলে জানিয়েছে পুলিশ। বয়স ৫৩ বছর।
যা জানা গেল...
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই চরম পথ বেছে নিয়েছিলেন প্রৌঢ়া। মাকে আগুনে পুড়তে দেখে বাঁচাতে ছুটে যান ছেলে সুদীপ্ত চক্রবর্তী। তাঁর অবস্থাও গুরুতর। চিকিৎসার জন্য কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে সুদীপ্তকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। কী কারণে এমন ঘটল,সঠিক খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। তবে প্রতিবেশীদের দাবি, পুত্রবধূর সঙ্গে সাংসারিক অশান্তির জেরেই গায়ে কেরোসিন জাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে আত্মঘাতী হন কল্পনা। প্রসঙ্গত, গত কাল পুরুলিয়ার আদ্রায় শিশুকন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার অভিযোগ ওঠে এক রেলকর্মীর বিরুদ্ধে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন মৃতের স্ত্রীও
দেনার ভারে 'আত্মঘাতী'
'আমাকেও মেরে ফেলতে পারত, তিন জনে তা হলে একসঙ্গেই শেষ হয়ে যেতে পারতাম', সন্তান ও স্বামীকে হারিয়ে বিলাপ করছিলেন অসুস্থ যুবতী। হুইলচেয়ারে বসেই সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন, 'আমরা একসঙ্গেই খেয়েছিলাম। মেয়েটি টিভিতে কার্টুন দেখছিল। হয়তো কোনও এক ফাঁকে তরকারিতে বিষ মিশিয়ে দেয়। বুঝতে পারিনি। সেই তরকারিই খেয়েছিলাম।' পরে টের পান, সন্তান নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে। স্বামীও নেই। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, সাড়ে ৫ বছরের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন বাবা। তার পর আত্মঘাতী হন। মর্মান্তিক এই ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানে যা উঠে এসেছে তার সঙ্গে হালেরই একটি ঘটনার মিল পাচ্ছেন অনেকে। এ রাজ্যে নয়, ঘটনাটি ঘটেছিল কর্নাটকে। সন্তানকে খিদের জ্বালায় কষ্ট পেতে দেখে তাকে 'খুন' করে দিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে কর্মরত এক তথ্য়প্রযুক্তিবিদ, অভিযোগ ছিল এমনই। নভেম্বরের একেবারে শেষ দিকে এই মর্মান্তিক ঘটনায় নাম জড়ায় রাহুল পারমারের। আদতে তিনি গুজরাতের বাসিন্দা হলেও বছরদুয়েক আগে স্ত্রী ভাব্যাকে নিয়ে বেঙ্গালুরু চলে এসেছিলেন। সেখানেই থাকতেন। পুলিশ জেনেছে, গত ৬ মাস ধরে রাহুলের কোনও রোজগার ছিল না। বিটকয়েনের ব্যবসায় ব্যাপক আর্থিক ধাক্কাও খেয়েছিলেন তিনি। গত ১৫ নভেম্বর হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান রাহুল। একই দিন থেকে খোঁজ মিলছিল না ২ বছরের খুদেরও। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানান ভাব্য়া। এর পরই প্রকাশ্যে আসে সবটা। তবে কিছুটা অদ্ভূত ভাবে। কেনদাট্টি গ্রামের একটি বিশাল দীঘিতে এক শিশুর দেহ ভাসতে দেখেন গ্রামবাসীরা। দীঘির পাড়ে একটি নীল গাড়িও দাঁড়িয়ে ছিল বলে দাবি তাঁদের। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হওয়ায় স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে খবর দেন গ্রামবাসীরা। দুইয়ে দুইয়ে চার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:দুই রাজ্যেই ফের মসনদে পদ্মশিবির, দিল্লিতে একচেটিয়া আপ, ইঙ্গিত সমীক্ষায়
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
