Canning Murder Update : 'ভোল বদলে রং মিস্ত্রি', ক্যানিংয়ে ৩ তৃণমূল নেতা খুনে কেরল থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
TMC Leaders' Murder : পুলিশের দাবি, মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে
ক্যানিং : ক্যানিংয়ে (Canning) তিন তৃণমূল নেতা খুনে (TMC Leader Murder) গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। কেরলের (Kerala) কোঝিকোর থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারকে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর (Baruipur) জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর কেরলে গিয়ে ভোল বদলে ফেলেছিল রফিকুল। সেখানে রং মিস্ত্রির কাজ করত। পুলিশের দাবি, মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন তৃণমূল নেতাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে রফিকুল। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে রাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছে ।
হাড়হিম করা খুন-
গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে ক্যানিংয়ে জনবহুল এলাকায়, মোটরবাইক থামিয়ে তিন তৃণমূল নেতাকে গুলি করে, গলা কেটে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য স্বপন মাঝি, গোপালপুর এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ভূতনাথ প্রামাণিক এবং যুব তৃণমূলের বুথ সভাপতি ঝন্টু হালদারের। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ পিয়ারের পার্ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় একটি তাজা বোমা এবং তিনটি গুলির খোল। ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে য়ায় গোটা রাজ্যে। সেই ঘটনায় প্রথম আফতাবউদ্দিন শেখকে গ্রেফতার করা হয়। এফআইআরে নাম থাকা বশিরউদ্দিন শেখের দাদা আফতাবউদ্দিন।
আরও পড়ুন ; ৩ 'একনিষ্ঠ সৈনিকের' মৃত্যুতে ফেসবুকে শোকবার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজির গতিবিধি সংক্রান্ত খবর খুনিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল আফতাবউদ্দিন। খুনের তিনদিন আগে ক্যানিংয়ের ধর্মতলার মাঠে বসে গোটা ব্যাপারটা পরিকল্পনা করা হয়। আফতাবউদ্দিনকে বলা হয়, তৃণমূল নেতা স্বপন মাজি কখন বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কাদের সঙ্গে যাচ্ছেন সে সম্পর্কে খোঁজ রাখতে। এর জন্য মোটা টাকা দেওয়ার লোভও দেখানো হয়। অপারেশনের সময় মোটরবাইক নিয়ে ৩ তৃণমূল নেতাকে অনুসরণ করার পাশাপাশি, আততায়ীদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছিল আফতাব। গুলি চলার পরেই সে এলাকা ছাড়ে।
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ক্যানিংয়ের ধর্মতলার বাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়। স্থানীয় সূত্রে দাবি, দেড় বছর আগে মাদক মামলায় ছাড়া পেয়ে বাড়িতে আসে রফিকুল। তবে গত কয়েক মাস ধরে সে বাড়ি ছাড়া ছিল। পরিবারের দাবি, রফিকুল তৃণমূল করত। রফিকুলের মায়ের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা ছিল তার। এরপর কেরল থেকে রফিকুলকে গ্রেফতার করা হল।
প্রসঙ্গত, তিন তৃণমূল (TMC)নেতার নৃশংস হত্যায় শোকপ্রকাশ করে ফেসবুক পোস্ট (FACEBOOK POST) করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ABHISEKH BANERJEE)। পোস্টটিতে স্বপন মাঝি, ঝন্টু হালদার ও ভূতনাথ প্রামাণিককে দলের একনিষ্ঠ সৈনিক বলে অভিহিত করেন অভিষেক।