Bantala: বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন
Bantala Fire Update: বালি ও জল বালতি করে নিয়ে গিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুরুতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল আগুন, কিন্তু পরে তা ফের দাউ দাউ করে লেগে যায়।
রঞ্জিত হালদার, সৌমিত্র কুমার রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন। লেদার কমপ্লেক্সের ৩ নম্বর গেটের কাছে আগুন। বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে রাসায়নিকের গুদামে আগুন। ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, এদিন রাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায় এই গুদামে। এই রাসায়নিক গুদামে প্রচুর পরিমানে রাসায়নিক পরে ছিল। ফলে আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। বালি ও জল বালতি করে নিয়ে গিয়ে সেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুরুতে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল আগুন, কিন্তু পরে তা ফের দাউ দাউ করে লেগে যায়। ঠিক যেখানে আগুন লেগেছিল সেই স্থানের প্রায় ৫০ মিটারের মধ্যে একাধিক কেমিক্যাল সহ ড্রাম ছিল। দমকলকর্মীদের আশঙ্কা যে সেই আগুন যদি আর একটু ছড়িয়ে যেত তবে তার ভয়াবহতা আরও ভয়ঙ্কর হতে পারত।
এদিকে, হাওড়ার মঙ্গলাহাটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নয়া মোড়। ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল CID। এরা হলেন অশোক মুদুলী ও সুরেন্দ্র কুমার ঢল। সূত্রের খবর, দুজনে পোড়া মঙ্গলাহাটের মুটিয়াদের সর্দার। তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীদের অনুমান ধৃতরাই হাটে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন যে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তা অনেকটাই নিশ্চিত। ফরেন্সিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, প্রায় আট বিঘা জমির ওপর এই হাটে পাঁচ জায়গায় আগুনের উৎস পাওয়া যায়। আগুন লাগানোর জন্য তরল দাহ্য পদার্থ ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নয়া মোড়: গত ২০ জুলাই মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে CID তদন্তভার নেয়। গ্রেফতার করা হয় নিজেকে হাট মালিক বলে দাবF করা শান্তিরঞ্জন দেকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে মুটিয়া সর্দাররা এই আগুন ধরিয়েছে। সেই মতো গত রাতে দুই মুটিয়া সর্দার অশোক ও সুরেন্দ্রকে গ্রেফতার করে CID। আজ হাওড়া আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্তদের। সংশ্লিষ্টদের তিনদিনের CID হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
কিন্তু কী উদ্দেশ্যে হাটে আগুন লাগানো হল ? তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে এই হাটকে আন্তর্জাতিক মানের হাট তৈরির পরিকল্পনা ছিল শান্তিরঞ্জনের। ৩৬ তলা হাট কমপ্লেক্স তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কারন দেশের বিভিন্ন রাজ্য ছাড়াও চিন, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড থেকেও এখানে জামা কাপড় কিনতে আসেন বহু মানুষ। নতুন করে দোকান বানাতে পারলে মোটা টাকায় দোকান বিক্রি করা যাবে। পুরানো ব্যবসায়ীদের ভাড়া ছিল খুবই কম। তারা উঠতেও চাইছিলেন না। সেকারণে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।