Fake Call Centre: বারুইপুরে বসে আমেরিকায় প্রতারণা! খোঁজ মিলল ভুয়ো কল সেন্টারের, ধৃত ৫
Baruipur News:শনিবার বারুইপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার পার্থ ঘোষ।
রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অতিমারিতে স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্কতা বেড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই প্রতারণাচক্র। ভুয়ো কল সেন্টার খুলে পাতা হতো ফাঁদ। আর সেই ফাঁদে পা দিয়ে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকা খোয়ান বহু মানুষ। দীর্ঘ দিন ধরেই সেই নিয়ে অভিযোগ জমা হচ্ছিল। শেষ মেশ ভুয়ো ওই কল সেন্টারের পর্দাফাঁস করল পুলিশ (Fake Call Centre)।
বারুইপুর থেকে ফোন যেত সুদূর আমেরিকা পর্যন্ত!
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের (Baruipur News) ঘটনা। সেখানকার মল্লিকপুরে ওই ভুয়ো কল সেন্টার রমরমিয়ে চলছিল বলে অভিযোগ। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার টোপ দেওয়া হতো। ফোন যেত সুদূর আমেরিকা পর্যন্ত। ফর্ম পূরণের নাম করে জরুরি তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হতো। গত কয়েক বছর ধরেই কল সেন্টারের নামে এই প্রতারণা চক্র চলছিল।
শনিবার বারুইপুর থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার পার্থ ঘোষ। তিনি জানান, বারুইপুর থানার অন্তর্গত মল্লিকপুরের পীরতলায় ওই ভুয়ো কল সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। একটি বাড়ির দোতলার দু'টি ঘর থেকে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক পাঁচটি কম্পিউটার, একাধিক সফ্টওয়্যার, মাউস এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাা করানোর দোহাই দিয়ে ব্যবহৃত আমেরিকার একটি অ্যাপ-এর সন্ধান মিলেছে।
আরও পড়ুন: Bankura News: ২৫ বছর ধরে লাগাতার অত্যাচার, রাগ মেটাতে গিয়েছিলেন স্ত্রী, খুনের দায় চাপল মাথায়
পুলিশ জানিয়েছে, একটি পোর্টালে বিভিন্ন নম্বর আপলোড করা হতো। সেই নম্বরে কেউ যোগাযোগ করলে, স্থানীয় ভাষায় এবং সুরে কথা বলে প্রথমে আস্থা অর্জন করা হতো। তার পর ফর্ম পূরণের নামে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য আদায় করে নিতেন অভিযুক্তেরা। তার পর হাতিয়ে নেওয়া হতো টাকা।
পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাজেয়াপ্ত সরঞ্জাম
ধৃতরা প্রত্যেকেই মল্লিকপুরের বাসিন্দা। ওই ভুয়ো কল সেন্টারের ডিরেক্টর তথা মালিক পলাতক। পাশাপাশি এই চক্রের পিছনে আরও বেশ কয়েক জন রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এখনও দফায় দফায় তল্লাশি চলছে। ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। নিজেদের কাছে ধৃতদের ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। এই চক্রের পিছনে আর কারা ছিল, কী ভাবে চলত প্রতারণা চক্র, কার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ত টাকা, কত টাকা জমা পড়েছে এখনও পর্যন্ত, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।