South 24 Parganas News: খুনের পর বস্তাবন্দি দেহ বাড়ির পিছনে ঝোপে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল ! রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হল সুপারি কিলারকে
South 24 Parganas Businessman Murder Case : রবীন্দ্রনগরে সুদ কারবারিকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায়, রাজস্থানের আজমের থেকে গ্রেফতার সুপারি কিলার

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : দক্ষিণ ২৪ পরগনার, রবীন্দ্রনগরে সুদ কারবারিকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায়, রাজস্থানের আজমের থেকে গ্রেফতার করা হল এক সুপারি কিলারকে। নাম হাসানুল গাজি ওরফে মিঠু। সোমবার, রাজস্থান থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় তাকে।
২২ দিন নিখোঁজ থাকার পর, গত বুধবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রবীন্দ্রনগরে জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় শেখ তাজউদ্দিন নামে ওই সুদের কারবারির বস্তাবন্দি পচাগলা দেহ। খুনের পর বস্তাবন্দি দেহ বাড়ির পিছনে ঝোপে ফেলে পালিয়ে গেছিল হাসানুল। সেইসময়, ধৃতদেরকে জেরা করে জানা যায়, পরিকল্পনা করে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে তাজউদ্দিনকে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এবার রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত ওই সুপারি কিলারকে।
রাজ্যে যেভাবে একের পর এক রহস্যমৃত্যুর ঘটনা আসছে, তাতে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় প্রতিসপ্তাহেই শ্যুটআউট, ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টা কিংবা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। কোনও ক্ষেত্রে প্রাণে বাঁচছে, কোনও ক্ষেত্রে প্রাণ হারাতে হচ্ছে নির্যাতিতদের। তবে এই ঘটনায় শেষ অবধি কোন দিকে যাবে, তা বলে দেবে সময়ই। সম্প্রতি রাজ্যে আরও একটি ভয়াবহ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। মেমারি রেল স্টেশন সংলগ্ন সুলভ শৌচাগারের ভিতরে উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ ! স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল,মৃত ব্যক্তির নাম রাজেশ থাপা। বাড়ি দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ে। তিনি গত এক মাস ধরে মেমারির স্টেশনের টিকিট কাউন্টার সংলগ্ন সুলভ শৌচাগারে কর্মরত ছিলেন। রাত্রি ১১ নাগাদ ভিতর থেকে তালাবন্ধ শৌচাগারের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজেশ থাপাকে পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেমারি থানা ও জিআরপি বর্ধমান থানার পুলিশ। এখানে বেশ অনেকগুলিই প্রশ্ন উঠে আসছে। প্রথমত রাজেশ থাপা এই শৌচাগারে গত এক মাস ধরে কাজ করেছেন। আচমকা এমন কী হল যাতে, তাকে প্রাণ হারাতে হল। কীভাবে রক্তাক্ত হলেন তিনি, কোনও নিছকই দুর্ঘটনা নাকি এর পিছনে রয়েছে অনেক বড় কোনও রহস্য। যদি তা থেকেও থাকে, কারা যুগিয়েছে এই ঘটনায় ইন্ধন। যে জায়গা থেকে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেই শৌচাগারেই কি রয়ে গিয়েছে কোনও প্রমাণ ? থাকলেও তা কি এখনও অক্ষত রয়েছে, নাকি তা প্রকাশ্যে আসার আগেই প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে ? উঠে আসে এই যাবতীয় প্রশ্ন।






















