House Collapse Death: মেলেনি আবাসের ঘর, মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে চরম পরিণতি দম্পতির
South 24 Parganas News: বাধ্য় হয়ে জরাজীর্ণ এই মাটির ঘর বুকে আঁকড়ে ধরে, এতদিন ঝড়-জলের রাত কাটিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি।

গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলপিতে মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে মৃত্য়ু হল বৃদ্ধ দম্পতির (House Collapse Death)। মৃতদের ছেলের অভিযোগ, বারবার আবাসের তালিকায় নাম আসলেও মেলেনি সরকারি ঘর। বাধ্য় হয়েই জরাজীর্ণ ঘরে থাকছিলেন বৃদ্ধ বাবা-মা। টানা বৃষ্টির মাঝে মঙ্গলবার এমন বিপত্তি ঘটে। এই প্রেক্ষাপটে স্থানীয় বিডিও জানিয়েছেন, মৃত দম্পতির ছেলের নাম রয়েছে আবাস তালিকায়। ধাপে ধাপে দেওয়া হচ্ছে টাকা।
জরাজীর্ণ মাটির ঘর বুকে আঁকড়ে ধরে, এতদিন ঝড়-জলের রাত কাটিয়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। কিন্তু এবার আর শেষরক্ষা হল না। ঘুমন্ত অবস্থাতেই শেষ হয়ে গেল ২টি প্রাণ। মাটির দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে প্রাণ হারালেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির বছর ৭৫-এর শিবপ্রসাদ মণ্ডল এবং ৬৫ বছর বয়সি রেণুকা মণ্ডল। মৃত দম্পতির ছেলের দাবি, এই কাঁচা বাড়িতেই থাকতেন তাঁর মা-বাবা। টানা বৃষ্টির মধ্য়ে মঙ্গলবার রাতে আচমকা মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে মৃত্য়ু হয় তাঁদের। মৃত দম্পতির ছেলে রাজু মণ্ডল বলেন, "রাত ১১টা, ১২টার দিকে নাকি দেওয়ালটা পড়ে গেছে। আমরা এই ঘরে থাকি। ঘুমোচ্ছিলাম বুঝতে পারিনি। সকালে আমার বউ এসে দেখে এই দিকের দেওয়ালটা পুরো পড়ে গেছে। ২জনে দেখলাম মাটি চাপা পড়ে শুয়ে আছে। মরে গেছে।'' এক বাসিন্দা গৌরী হালদার বলেন, "জানি না রাতের বেলা কী করে হয়েছে। এরাও বুঝতে পারেনি। আমরাও বুঝতে পারিনি। দেওয়াল আমরা দু'জনে তুলেছি। পা হাতে পড়েছে। তারপর লোকজন ডেকে দেওয়াল তোলা হল। বাবা-মাকে বাইরে বার করা হল। তখন মারা গেছে।''
মৃত দম্পতির ছেলের দাবি, ২০১৮ সালে 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার' তালিকায় নাম ছিল তাঁর। নাম ছিল ২০২৪-এর 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পের তালিকাতেও। কিন্তু অভিযোগ, তারপরও সরকারি ঘর মেলেনি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়ির পাশেই রয়েছে আরও একটি ভগ্নপ্রায় বাড়ি। বাসিন্দাদের দাবি, যে কোনও মুহূর্তে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার ভয়ে, ঘর ছেড়ে অন্য় জায়গায় থাকতে হচ্ছে তাঁদের। এক বাসিন্দা বেলা বর বলেন, "আমাদের ছবি তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, বলেছিল যে পঁচিশ সালে ডিসেম্বর মাসে টাকা ঢুকবে। অনেকের ঢুকেছে খালি আমাদের বাড়ি আর যে বাড়ির ক্ষতি হল, ২টো বাড়ির আসেনি। ২ বাচ্চা নিয়ে মায়ের বাড়ি থাকি। ঘর এরকম পড়ে আছে বলে, ভেঙে যাবে বলে, ২ বাচ্চাকে নিয়ে মায়ের বাড়ি গিয়ে থাকি। তাও তো সরকারের ঘর থেকে দিচ্ছে না।''
কুলপির বিডিও জানিয়েছেন, মৃত দম্পতির ছেলের নাম আবাস তালিকায় আছে। ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের বাকি তালিকাভুক্তদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মৃত্যুর জন্য় সরকারের তরফে ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য় দেওয়া হবে পরিবারকে।






















