Baruipur News: ফের শ্যুটআউটের প্ল্যান ? বারুইপুরে বড় সাফল্য পুলিশের
Baruipur Fire Arms Rescue: বারুইপুরেও ছিল শ্যুটআউটের প্ল্যান ? আরও একটা আসানসোলকাণ্ড হওয়ার আগেই বড় সাফল্য পুলিশের।
রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যে আসানসোল শ্যুটআউটের (Asansol Shootout) এখনও ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি। তারই মাঝে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) গোয়ালপোখরে ঘটে গিয়েছে অঘটন। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে কড়া নজর রেখেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। এমনিতেই সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই বাড়তি সতর্কতা। আর এমনই এক পরিস্থিতিতে বারুইপুরে (Baruipur) পুলিশের জালে ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক দুষ্কৃতী। এবার প্রশ্নটা হচ্ছে, তাহলে কি বারুইপুরেও ছিল শ্যুটআউটের প্ল্যান ?
শুক্রবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বারুইপুর থানা এলাকার মল্লিকপুর এলাকায় পুলিশ সন্তোষজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় একজন যুবককে আটক করে। তারপর তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে দু'টি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড কার্তুজ। ধৃতের নাম ইস্তাক আহমেদ ওরফে ভিকি। ধৃতকে শনিবার বারুইপুর পুলিশ সুপারের দফতরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এক সাংবাদিক সম্মেলন বারুইপুরের পুলিশ সুপার পুষ্পা বলেন, 'ইস্তাক আহমেদের নামে এর আগে অভিযোগ ছিল। কিন্তু কেন সে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল ? বা কোথা থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসেছিল ? তা জানার জন্যই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে এদিন বারুইপুর আদালতে (Baruipur Court) তোলা হবে।'
আসানসোলে হোটেলে হাড়হিম করা শ্যুটআউটের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে গতকাল। হোটেলে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মালিককে পরপর গুলি করা হয়। আসানসোলে পুলিশ লাইনের পাশেই রয়েছে ওই হোটেল। সেখানে ঢুকে মালিককে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। হোটেলের লাউঞ্জে বসে ব্যবসা সংক্রান্ত আলোচনার সময় আচমকা পরপর গুলি করা হয়। শহরের বুকে অভিজাত হোটেলের মালিককে পরপর গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এদিকে এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) গোয়ালপোখরের (Goalpokhor) মদিনাচকে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটে। ছররা গুলিতে মৃত্যু হয় একজনের।
আরও পড়ুন, ‘দিদির দূতে’র পাল্টা ‘পাড়ায় সুকান্ত’! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগে বিজেপি
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাজ্য সড়কের পাশে মাদিনাচকে স্থানীয় লোকজনের ভিড় ছিল। হঠাৎ কয়েকজন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে তাঁদের ওপর ছড়রা গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন মহম্মদ আরিফ নামে বছর ২৪-এর এক যুবক। আহত হন এক মহিলা সহ তিন জন। সঙ্গে সঙ্গে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় আরিফকে।