Awas Yojana Controversy: দোতলা বাড়ি, তবুও আবাস যোজনায় নাম, প্রশ্ন উঠতেই বাদ নাম
South 24 Parganas: তৃণমূল সভাপতি দিলীপ ঢালি ও উপপ্রধান মামুদা বিবির পরিবারের সদস্যদের নাম ছিল আবাস তালিকায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় ফের স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতাপনগরের গাড়াল অঞ্চলের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় নস্করের স্ত্রীর নাম রয়েছে আবাস-তালিকায়। টাইলস বসানো দোতলা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আবাস যোজনায় নাম উঠল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের সাফাই, আবেদনের সময় আর্থিক অবস্থা খারাপ ছিল। বাড়ি হওয়ার পর, বিডিও-র কাছে নাম কাটানোর আবেদন জানানো হয়েছে। তৃণমূল সদস্যের স্ত্রীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনারপুরের বিডিও। এর আগে সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও প্রতাপনগর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি দিলীপ ঢালি ও উপপ্রধান মামুদা বিবির পরিবারের সদস্যদের নাম ছিল আবাস তালিকায়।
দলের অন্দরেই প্রশ্ন:
সোনারপুরের প্রতাপনগরে আবাস যোজনার দুর্নীতির অভিযোগ এবার তৃণমূলের অন্দরেই। দলেরই একাংশ অভিযোগ করছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে।
মালদাতেও একই অভিযোগ:
ঝাঁ চকচকে বাড়ি। অথচ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল প্রধানের স্বামী ও শাশুড়ির। মালদার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। অভিযোগ, প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে আবাস তালিকায় স্বামী ও শাশুড়ির নাম ঢুকিয়েছেন তৃণমূল প্রধান মাস্তারা খাতুন। প্রধানের দাবি, তিনি নিজে আবেদন করেননি। দলের কোনও কর্মী নাম পাঠিয়েছিলেন। নাম কাটাতে বিডিও-র কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবাস-তালিকায় স্বজন পোষণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য নয়, তাদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেতৃত্বের।
মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভ:
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় সমীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার সুলতানপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ICDS কর্মী প্রকৃত প্রাপকদের নাম কেটে দিয়ে পাকা বাড়ির মালিকদের নাম আবাস-তালিকায় রেখেছেন। আজ সকালে ICDS কর্মী ভগবানগোলা ১ নম্বর ব্লকের মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুলতানপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যাওয়া মাত্র তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশ গিয়ে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে উদ্ধার করে। ICDS কর্মীর দাবি, সমীক্ষা রিপোর্ট ব্লক অফিসে পাঠানো হয়েছে। প্রশাসনই চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: আদালতে ধাক্কা অনুব্রতর, দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে পারবে ইডি