Balurghat : চেয়ার ছুঁড়ে বালুরঘাটের বিডিওকে মার বিজেপি নেতার ! প্রকাশ্যে আনা হল সিসিটিভি ফুটেজ
CCTV footage Released : এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা
মুন্না অগ্রবাল, বালুরঘাট : দফতরে ঢুকে, চেয়ার ছুঁড়ে বালুরঘাটের বিডিওকে (Balurghat BDO) মার বিজেপি নেতার (BJP Leader)। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্য়ে আনল বিডিও-র দফতর। এখনও অধরা হামলাকারী। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে পুলিশ সুপারকে, জানান দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) জেলাশাসক।
ভিডিওয় যাঁকে চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে, তিনি, বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার। আর মেরুন রঙা হাফ জ্যাকেট পরে যিনি ঢোকেন তিনি সুভাষ সরকার। বালুরঘাটের পতিরামের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি। হঠাৎ বিডিওকে লক্ষ্য় করে একটি বড় কাঠের চেয়ার ছুড়ে মারেন তিনি। বিডিও যখন প্রাথমিক আঘাত সামলে ওঠেন, তখন বিডিওকে লক্ষ্য় করে ছুড়ে মারেন আরেকটি চেয়ার। বিডিওর চেঁচামেচিতে এক ব্যক্তি ঘরে ঢুকে, বিজেপি নেতাকে সরিয়ে নিয়ে যান।
এরপর আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দৌড়ে পালাচ্ছেন বিজেপি নেতা, তাঁর সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যরা। সোমবার, বিডিওর ওপর হামলার ঘটনায়, এই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছে বিডিও-র দফতর। যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
বর্তমানে, বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিডিও। তাঁর মাথায় ও হাতে চোট লেগেছে। মঙ্গলবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান, বালুরঘাটের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা। তিনি বলেন, কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ সুপারকেও বলেছি। কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
কিন্তু কী কারণে এই হামলা ?
বিজেপির তরফে দাবি, বালুরঘাটের ৬ নম্বর ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে, প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন, বিজেপি সদস্য়রা। সোমবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিজেপির অভিযোগ, পুলিশ ও বিডিওর অসহযোগিতার কারণেই ভোটাভুটি হয়নি। সেই রোষেই বিজেপি নেতা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ।
বালুরঘাটের ৬ নম্বর ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ২০ টি আসন। এরমধ্যে ১১টিতে জেতে বিজেপি। ৬টিতে জয়ী হয় তৃণমূল। ৩টি পায় বামেরা। কিন্তু বিজেপি থেকে নির্বাচিত হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই প্রধান তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ১০ জন বিজেপি সদস্য। সোমবার আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। আর সেদিনই বিডিওর ওপর বিজেপি নেতার হামলার অভিযোগ। ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
যদিও এই ঘটনায় এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা।