Balurghat News: ভাঙল আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ! উল্টে গেল ঘাটে নামার সিঁড়ি, ভাসতে পারে বালুরঘাট ?
Atreyi River Dam: ড্যাম তৈরির ১ বছর পার, তার মাঝেই ভেঙে গেল আত্রেয়ী নদীর বাঁধ

মুন্না অগ্রবাল, দক্ষিণ দিনাজপুর: আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ভেঙে উল্টে গেল ঘাটে নামার সিঁড়ি । রবিবার রাতে ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাবাসীর মধ্যে। এরপরেই বালুরঘাট পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাস্থলে যান সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। এলাকায় যায় পুলিশ ও পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র পৌঁছন। রাত পর্যন্ত তারা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন, কীভাবে ওই ঘটনা ঘটল। যদিও বিষয়টি মোটেই হালকাভাবে নেননি বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ভাঙল আত্রেয়ী নদীর বাঁধ ! উল্টে গেল ঘাটে নামার সিঁড়ি
নদীর লোও ড্যাম তৈরি হয়েছে এক বছর হল। কিন্তু এর মধ্যেই এই ঘটনা রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যদিও শেষ দফতরের কর্মীরা ড্যাম্পের যে গেট জল পাস হওয়ার সেই গেট রাতেই খুলে দেন সে কারণেই তারা মনে করছেন গেট খুলে যাওয়াতে কিছুটা স্বস্তি মিলবে, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ডাম্পের গেট বন্ধ করে রাখার জন্যই ড্যাম্পের পাশের ওয়ালের তলে ফুটো থাকায় সেখান দিয়ে জল পাশ হতে শুরু করে এবং তারপরেই বাঁধ ভেঙ্গে হুড়মুড়িয়ে জল ঢুকতে শুরু করে।
মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় , পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন আর বিপর্যয় সমার্থক : সুকান্ত
বাধ ভেঙে যাওয়ার ঘটনায়, সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'মাননীয়ার অনুপ্রেরণায় , পশ্চিমবঙ্গে উন্নয়ন আর বিপর্যয় সমার্থক। বছর দুয়েক আগে, বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর উপরে ড্যাম তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানেও বিপর্যয়। আকস্মিকভাবে সেই ড্যাম ভেঙে গেল। ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট পরিমাণে আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে, যে কায়দায় সর্বত্র প্রাতিষ্ঠানিক লুঠ চলছে, তাতে স্পষ্ট আগামীবছর এই পশ্চিমবঙ্গের মানুষই, এই লুঠের সরকারকে ভেঙে গুড়িয়ে দেবে ।'
আরও পড়ুন, জঙ্গলে চলছিল তল্লাশি, আচমকাই বনকর্মীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল বাঘ, মর্মান্তিক ঘটনা মৈপীঠে !
আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বৃদ্ধিতে অতীতে একাধিকবার জলমগ্ন হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা
আত্রেয়ী নদীর জলস্তর বৃদ্ধিতে অতীতে একাধিকবার জলমগ্ন হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বালুরঘাট শহরের সকল রাস্তার উপরে জল উঠে গিয়েছিল। এমন কি বন্ধ রাখতে হয়েছিল একটা সময় বালুরঘাট আদালত। রাস্তা জলের তলায় থাকায় যাতায়াত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল ট্রাক্টর। পুর এলাকাতেও দেখা দিয়েছিল পানীয় জলের সমস্যা। বালুরঘাট ছাড়াও জলমগ্ন ছিল জেলার একাধিক গ্রাম। নদীর জল ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল চাষ জমিও।






















