Sovan Baisakhi: অভিষেকের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক শোভন-বৈশাখীর, তৃণমূলে যোগদানের জল্পনায় সিলমোহর?
Abhishek Banerjee: 'দলের কাজে আমি আগ্রহী, জানিয়ে এলাম অভিষেককে', বললেন শোভন।

কলকাতা: উৎসবের আবহে বঙ্গ রাজনীতিতে 'সাক্ষাৎ' জল্পনা! শারদোৎসবের প্রাক্কালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবার শোভন চট্টোপাধ্যায়! আজ হঠাৎই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। দুজনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ করা হয় বলে জানা গিয়েছে। 'অভিষেকের সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎ হয়েছে, আমি মুগ্ধ' , সাক্ষাৎকার করে বেরিয়ে এবিপি আনন্দের প্রতিনিধিকে জানালেন প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়।
একটা সময়ে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন পালন করেছেন মেয়রের দায়িত্ব। তবে একটা সময়ে তৃণমূল ছেলে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। পরে বিজেপি থেকে সরেও এসেছিলেন। এরপরে রাজনীতি থেকে দূরেই ছিলেন তিনি। তবে আজ, শারদোৎসবের আগে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলে, ফের তৃণমূলে যোগদান করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন শোভন। এদিন এবিপি আনন্দের প্রতিনিধিকে শোভন বলেছেন, 'দলের কাজে আমি আগ্রহী, জানিয়ে এলাম অভিষেককে। অভিষেকের সঙ্গে যে দীর্ঘ সাক্ষাৎ হয়েছে, তাতে আমি মুগ্ধ। দল যখন যেভাবে কাজে লাগাবে, আমি সেই কাজ করতে আমি আগ্রহী। আমি বলছি বয়স কোনও সমস্যার কারণ হবে না।'
পাশাপাশি শোভন আরও বলেন, 'এটা থেকে আজকে অনেক জিনিস উপলব্ধি করেছি। যা আলোচনা হয়েছে তাতে মনে করি, ওই মেঘ থেকে জল আসবে'। আজ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও। তিনি এদিন বলেন, 'আমার কাছে শ্রেষ্ঠ শারদ উপহার। ভুল ধারণা, রটনা কেটে গেছে, শোভনের সক্রিয়তা সময়ের অপেক্ষা।' এদিন শোভনের সঙ্গে ৩ ঘণ্টা বৈঠক হয় অভিষেকের। শোভন চট্টোপাধ্যায় আশাবাদী। আজ যেভাবে বৈঠক হয়েছে, তাতে শোভন চট্টোপাধ্যায় মনে করছেন, সেটা ফলপ্রসূ হবেই। তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা।
এদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবিপি আনন্দের প্রতিনিধিকে বলেন, 'তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব আমার কাছে ছোট ভাইয়ের মতো, পরিবারের মতোই। তিনি হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজোর চতুর্থীর দিন ওর সঙ্গে সময় করে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বহু আলোচনা, অনেক মতের আদানপ্রদান হয়েছে। আমি মুগ্ধ। আমার তৃণমূলে ফেরার বিষয়ে মমতাদি আর অভিষেক মিলিত সিদ্ধান্ত নেবেন। আমায় যখন যেভাবে কাজে লাগাবে, সেইভাবে কাজ করতে আমি আগ্রহী। অভিষেককে জানিয়েছি সেই কথা।'
দীর্ঘদিন রাজনীতিতে যুক্ত থাকার পরে ব্যক্তিগত কারণেই সরে যান শোভন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও তোলপাড় চলে। আদালতে তাঁর বিচ্ছেদের মামলা চলছে।






















