Sovan-Baishakhi Update: আচমকা নবান্নে শোভন-বৈশাখী, ১৪ তলায় মমতা-সাক্ষাৎ! তৃণমূলে কাননের প্রত্যাবর্তন ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা
Nabanna Update: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা।
হাওড়া: রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন দীর্ঘ দিন। এ বার আচমকাই নবান্নে (Nabanna) উপস্থিত হলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) এবং তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা। তাহলে কি তৃণমূলে (TMC) প্রত্যাবর্তন শোভন-বৈশাখীর? তৃণমূল থেকে বিজেপি হয়ে ফের কি তৃণমূলে শোভন-বৈশাখী?নবান্নে শোভন-বৈশাখীর উপস্থিতি ঘিরে জোর জল্পনা। এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) সঙ্গে কথা বলে রেখেছেন বলে খবর।
তৃণমূলে ফিরতে চলেছেন শোভন!
বুধবার নবান্নের ভিআইপি প্রবেশ পথ হয়ে আচমকাই সাদা গাড়িতে থেকে শোভন এবং বৈশাখীকে নামতে দেখা যায়। সোজা তাঁরা নবান্নের ১৪ তলায় গিয়ে উপস্থিত হন তিনি। ওই ১৪ তলাতেই মুখ্যমন্ত্রী বসেন। তাঁর সঙ্গেই শোভন এবং বৈশাখী সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলে শোভনের প্রত্যাবর্তন নিয়ে কথা বলতেই নবান্নে গিয়েছেন শোভন-বৈশাখী।
একদা মমতার ঘনিষ্ঠবৃত্তে থাকা শোভনের ব্যক্তিগত জীবন ঘিরে কয়েক বছর আগে তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি শোভনকে সতর্কও করেছিলেন মমতা। তার পরেও শোভন-বৈশাখী এবং শোভনের স্ত্রী রত্নার সম্পর্কের টানাপোড়েন আড়ালে থাকেনি। প্রকাশ্যে কার্যত কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয় তাঁদের মধ্যে। তার পর ২০১৮ সালে কলকাতার মেয়রের পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন।
আরও পড়ুন: TET : দিকে দিকে TET চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ, চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলল পুলিশ
পরবর্তী কালে যত সময় এগিয়েছে, ততই তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বেড়েছে শোভনের। ২০১৯-এ কালীঘাটে মমতার কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিতে গেলেও, দূরত্ব ঘোচেনি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে শামিল হন শোভন এবং বৈশাখী। দক্ষিণ কলকাতায় গেরুয়া শিবিরের নির্বাচনী কাজকর্মের দায়িত্বও পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে গোড়া থেকেই তাল মেলেনি শোভন এবং বৈশাখীর। ফলে শোভন এবং বৈশাখী বিজেপি ছেড়েও বেরিয়ে আসেন।
তার পর থেকে এ যাবৎ কার্যত নিভৃতেই ছিলেন শোভন এবং বৈশাখী। এমনকি রাজনীতিতে শোভনের ভবিষ্যৎ শেষ বলেই নিদান দিয়ে দিয়েছিলেন অনেকে। বরং সেই তুলনায় শোভনের স্ত্রী রত্না রাজনীতিতে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠেন। শোভনের কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি পুরভোটে কাউন্সিলরও নির্বাচিত হন তিনি।
শোভনের ফেরায় আপত্তি নেই রত্নার!
তাই রত্নার উপস্থিতিতে শোভনের তৃণমূলে ফেরার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হতে শুরু করে। কিন্তু সূত্রের খবর, সম্প্রতি শোভনের তরফে তৃণমূলে ফেরার আগ্রহ দেখানো শুরু হলে, রত্নার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন জোড়াফুল নেতৃত্ব। শোভনের ফেরা নিয়ে আপত্তি জানাননি রত্না। তার পরই শোভনের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি হন মমতা। সব কিছু ঠিক থাকলে, এ দিনই শোভনের তৃণমূলে ফেরায় সিলমোহর পড়তে পারে।