SSC Case: আজ ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার 'সুপ্রিম' শুনানি, কোন পথে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা ?
Supreme Court SSC Case Hearing Today: আজ ফের সুপ্রিম কোর্টে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি

কলকাতা: আজ ফের সুপ্রিম কোর্টে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি রয়েছে। এর আগে ২৮ জানুয়ারির শুনানিতে গোটা প্যানেবই বাতিল করার আবেদন জানান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, নতুনভাবে নিয়োগে অনেক সমস্যা হবে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, কিছু ঝামেলা সহ্য করে শুধুমাত্র যারা পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁদের সুযোগ দিতে হবে। সিপিএমের আইনজীবী সাংসদের অবস্থানের তীব্র সমালোচনায় সরব হন চাকরিরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করার প্রশ্নে একাধিকবার পিছিয়েছে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেদিন সুপ্রিম কোর্ট মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার ওপরে জোর দিয়েছিল। সম্ভাব্য কোন উপায়ে তা করা যায়, সেই ইঙ্গিতও দেওয়া হয়।
যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারবে এসএসসি? নাকি পুরো প্যানেলই বাতিল করতে হবে? সোমবার SSC-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। একদিকে মেয়ে হারানোর যন্ত্রণা।অন্যদিকে, যন্ত্রণা চাকরি হারানোর। সোমবার, আরজি কর-কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে সিবিআই ও রাজ্য সরকারের আবেদনের শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে। সেদিনই SSC-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারবে এসএসসি? নাকি পুরো প্যানেলই বাতিল করতে হবে? ২০১৬ সালের SSC-র ২৫ হাজার ৭৫৩ জন চাকরি প্রাপকের ভবিষ্যত কী?সোমবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে।
আরও পড়ুন, আজ থেকে শুরু মাধ্যমিক, জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসার অপেক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীরা
গত ১৫ জানুয়ারি, গ্রুপ D এবং নবম-দশমের শিক্ষকদের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি সওয়াল করেন, হাইকোর্টের রায়ে যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্য়ে যাঁরা নির্দোষ, তাঁরা তো সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তখন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, আমরা এটা বলে আসছি যে, যদি যোগ্য়-অযোগ্য় পৃথক করা সম্ভব হয়, তাহলে সেটাই করা উচিত। কিন্তু, যদি আলাদা করা সম্ভব না হয়, তাহলে পুরোটাই (প্য়ানেল) উড়িয়ে দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার আদালতে কী তথ্য দেবে এসএসসি, সেদিকেই নজর সবার।২০১৬ সালের আগে পর্যন্ত খাতায় লিখে SSC দিতে হত। সেই খাতা ৩ বছর সংরক্ষণ করা হত। কিন্তু ২০১৬ সালে প্রথমবার OMR-এ পরীক্ষা হয় এবং ৩ বছরের বদলে তা ১ বছর সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়। সেই পরীক্ষায় OMR শিটের অরিজিনাল কপি সংরক্ষণ করেনি SSC। মিরর ইমেজও নেই। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে চাকরি বাতিল মামলায় যোগ্য-অযোগ্য নির্ধারণ হবে কোন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে? আদৌ কি চাল আর কাঁকর আলাদা করতে পারবে এসএসসি? স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন যাঁরা, তাঁদের আর কতদিন বিড়ম্বনা ভোগ করতে হবে?





















