School Teacher Crisis: পরীক্ষায় গার্ড উঁচু ক্লাসের পড়ুয়া, কাজে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকও; শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে স্কুলগুলি
SSC Case: সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্য়মন্ত্রীর বৈঠকের পর, ক্ষুব্ধ চাকরিহারাদের মুখে উঠে এসেছিল সিভিক-প্রসঙ্গ।

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের একটা অংশ চাকরি হারিয়েছেন। জেলায় জেলায় কার্যত ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা (SSC Case)। কোথাও সিভিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। কোথাও আবার পরীক্ষার হলে গার্ড দিচ্ছে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা। চতুর্থ শ্রেণির কর্মী না থাকায় স্কুলে গিয়ে ঘণ্টা বাজাতে হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে। ঝাড়গ্রামের একটি স্কুলে একমাত্র শিক্ষকের চাকরি হারানোয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককে দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে।
ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা: সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্য়মন্ত্রীর বৈঠকের পর, ক্ষুব্ধ চাকরিহারাদের মুখে উঠে এসেছিল সিভিক-প্রসঙ্গ। একদিন পরই মুর্শিদাবাদের সকুলে দেখা গেল কার্যত শিক্ষকদের সিভিক-মডেল। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ের স্কুলের ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। শিক্ষিকা ছিলেন ২৭ জন। তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ১৮ জনেরই চাকরি গেছে। রাতারাতি শিক্ষকের ঘাটতি সামাল দিতে স্কুলের ৬ জন প্রাক্তনীকে শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নিলে, মাস গেলে মিলবে ৬ হাজার টাকা। স্কুলের এক অস্থায়ী শিক্ষিকা জানাচ্ছেন, "৪ তারিখ জমা দিয়েছিলাম, সন্ধের সময় জানানো হয়...৫ তারিখ থেকে জয়েন করেছি।'' স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, "স্কুল চালাতে সত্যি হিমশিম খাচ্ছি, স্কুল যাকে বলে ভেঙে পড়েছে। ১০০ জনে একজন গার্ড দিত, এখন ২০০ জনেও একজন হচ্ছে না।''
মুর্শিদাবাদেরই লালগোলা মহেশনারায়ণ অ্য়াকাডেমির ৪২ জন শিক্ষকের মধ্যে ১১ জন চাকরি হারিয়েছেন। পড়ুয়ার সংখ্যা ৪ হাজারের কাছাকাছি। প্রধান শিক্ষক অরুণচন্দ্র দাস বলছেন, " আমাদের স্কুলে এমনিতে যা স্য়াংশন পোস্ট, তার থেকে অনেক কম সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। ৪২ জন শিক্ষক হঠাৎ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ১১ জন শিক্ষক চাকরিহারা। কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেব জানি না।'' ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলের বহড়াদাঁড়ি জুনিয়র হাইস্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৪০। একজনই শিক্ষক ছিলেন, তাঁর চাকরি গেছে। স্কুলে এসে হাল ধরতে হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অজিতকুমার ভুঁইয়াকে। তিনি বলেন, "২০২০-র মার্চ মাসে রিটায়ার করি। DI-SI-কে দিয়ে জোর করে আমাকে আসতে বাধ্য করেছে।''
এদিকে রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তে SSC-র অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে হাইকোর্টের CBI তদন্তের নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল, তাই আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছিল, হাইকোর্টের রায়ের ওপর চাকরিপ্রাপকদের ভাগ্য নির্ভর করবে। আদালতের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই বলে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।






















