SSC: 'মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েও রাখছেন না', বিধানসভার বাইরে বিক্ষোভ এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের
এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত বিধানসভা চত্বর। সোমবার দুপুরে বিধানসভার বাইরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

কলকাতা:
ফের উত্তপ্ত বিধানসভা চত্বর: এসএসসি (SSC) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত বিধানসভা চত্বর (Assembly)। সোমবার দুপুরে বিধানসভার (Assembly) বাইরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিন পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধে বিক্ষোভকারীদের। নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। ২০১৯-এ প্রেসক্লাবের সামনে নিয়োগের দাবিতে অবস্থানে বসেছিলেন এই প্রার্থীরা। দীর্ঘদিন অবস্থান চলার পরে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে অবস্থান তুলে নেন চাকরিপ্রার্থীরা। তবে এখন ওই চাকরি প্রার্থীদের দাবি, আশ্বাস দিলেও সেই মতো নিয়োগ হয়নি। যার জেরেই পথে নেমেছেন তাঁরা।
মেয়ো রোডে এসএসসির চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান-বিক্ষোভ: কিছুদিন মেয়ো রোডে এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থান-বিক্ষোভ দেখান। প্রায় ১৫৪ দিন ধরেই চলে এই অবস্থান বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০১৬ সালে পরীক্ষার পরে ২৫০০ জন চাকরিপ্রার্থীর চাকরি এখনও পায়নি। কিন্তু এই নিয়ে কোনও সুরাহাও মেলেনি গত ৫ বছরে। এ দিন চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় ধুন্ধুমার: উল্লেখ্য, সোমবার সকাল থেকেই উত্তেজনা অব্যাহত বিধানসভায়। রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভায় ধুন্ধুমার বাঁধে। বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতি। একে অন্যের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। নাকের হাড় ভাঙল তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসএসকেএম-এ। মনোজ টিগ্গার জামা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Rampurhat Fire: রামপুরহাটকাণ্ডে মিহিলাল শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: রামপুরহাটকাণ্ডে অগ্নিদগ্ধ নাজেমা বিবির মৃত্যু
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা চলছে, অথচ রামপুরহাট নিয়ে কেন যাবতীয় সরকারি ঘোষণা বাইরে করলেন মুখ্যমন্ত্রী? সংসদীয় ব্যবস্থায় এটা করা যায় না, অধ্যক্ষের সামনেই সাদা পোশাকের পুলিশ এনে হামলা চালানো হয়, দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। প্রতিদিন আপনারা শুধু চিত্কার আর ওয়াকআউট করছেন, মন্তব্য অধ্যক্ষের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পরবর্তী অধিবেশন পর্যন্ত শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষকে, দীপক বর্মন, নরহরি মাহাতোকে সাসপেন্ড করলেন অধ্যক্ষ।






















