SSC Protest: 'আমাদের পরীক্ষা দিতে হলে, মুখ্যমন্ত্রী-সাংসদরাও পরীক্ষা দিন', দাবি তুললেন চাকরিহারারা
SSC Agitation: চাকরিহারারা এও বলেন, 'আগে সবাই ফের নির্বাচনে দাঁড়াক, তারপর আমরা পরীক্ষার কথা ভাবব'

কলকাতা: বৃহস্পতিবার চাকরিহারা শিক্ষকদের সল্টলেকে বিকাশ ভবন ঘেরাও অভিযান ছিল। শিক্ষা-সহ একাধিক দফতর রয়েছে বিকাশ ভবনে। রয়েছে ৩টি প্রধান গেট। সমস্ত গেটে চাকরিহারা শিক্ষকদের ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। সেই অভিযানেই অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে। বিকাশভবনের ভিতরে ঢুকতে গেলে চাকরিহারাদের বাধা দেয় পুলিশ। এরপর মেন গেট ভেঙে ঢুকলেন চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরিস্থিতি অশান্ত হয়। সেখান থেকেই বড় দাবি তুললেন চাকরিহারারা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, 'দ্বিতীয়বার আমরা পরীক্ষা দেব না। আমাদের পরীক্ষা দিতে হলে মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ সবাইকে পরীক্ষা দিতে হবে'। এমনকী তাঁরা এও বলেন, নেতা-মন্ত্রী ধরে ঘুষ দিয়ে চাকরি পাইনি, কেন বার বার পরীক্ষা দিয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে? উঠল উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান।
চাকরিহারারা এও বলেন, 'আলোচনা না করেই ভিতরে ভিতরে পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু। বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান করছি, আগেও প্রতিশ্রুতিভঙ্গের কাহিনি শুনেছি। না জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চাকরি করছি, আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। চাকরি যাওয়ার জন্য দায়ী স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রাজ্য সরকার। আগে সবাই ফের নির্বাচনে দাঁড়াক, তারপর আমরা পরীক্ষার কথা ভাবব। যাদের কারণে চাকরি গিয়েছে, রিভিউ পিটিশনে আমাদের চাকরি ফেরত নিয়ে আসতে হবে। স্কুলে সসম্মানে ফেরাতে হবে। বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ঢুকে গেছে। যাদের জীবনের গেট ভেঙে গেছে, তাদের কতদিন আটকে রাখা যাবে'।
দিনের শুরুতেই বিকাশ ভবনের মেন গেট ভেঙে বিকাশভবনের ভিতরে চাকরিহারারা ঢুকে গেলে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলাও। সেই সময়ই ভেঙে ফেলা হয় বাইরের দরজার আরও একটি পাল্লা। পরে মূল ভবনের শাটার নামিয়ে আন্দোলনকারীদের আটকানোর চেষ্টা পুলিশের।
আন্দোলনরত চাকরিহারাদের দাবি ছিল, 'ওএমআর শিটের মাধ্যমে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে মামলা রিভিউ করুক রাজ্য। আমাদের ন্যায় বিচার হোক, চোরেরা শাস্তি পাক। অন্যের পাপের দায় আমরা নেব না'।
গত ৩ এপ্রিল ২০১৬-র SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মী মিলেয়ে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার জন। পরে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত নন এমন শিক্ষকদের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মে মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করারও নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চাকরিহারারা।






















