SSC Recruitment: নতুন নিয়োগেও জল গড়াল আদালতে, SSC-র নয়া বিধিকে চ্যালেঞ্জ মামলা দায়ের
Calcutta High Court: সুপ্রিম নির্দেশে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। তাতে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য।

কলকাতা: SSC-র ২০২৫ সালের নতুন বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে (SSC Recruitment) মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। নতুন বিধি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী বলে হাইকোর্টে দাবি মামলাকারীর আইনজীবীর। মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়।
নতুন বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা: সুপ্রিম নির্দেশে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। তাতে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজ্য। যাতে একাধিক বদল আনা হয়েছে। ২০১৬-র ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ মামলা দায়ের করেছেন। মামলাকারীর দাবি, নতুন বিধি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপন্থী। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৫ জুন মামলার শুনানি।
চাকরিহারাদের পরীক্ষা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে SSC। ১৬ জুন বিকেল ৫টা থেকে অনলাইন আবেদন নেওয়া শুরু হবে। ১৪ জুলাই বিকেল ৫টায় শেষ হবে অনলাইনে আবেদন নেওয়া। লিখিত পরীক্ষার আনুমানিক সময় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। পরীক্ষার ফল বেরোতে পারে চলতি বছরের অক্টোবরের চতুর্থ সপ্তাহে। ইন্টারভিউ হতে পারে চলতি বছরের নভেম্বরের প্রথম থেকে তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। প্যানেল প্রকাশ হবে চলতি বছরের নভেম্বরের ২৪ তারিখ। কাউন্সেলিং শুরু হতে পারে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর। SSC-র ২০২৫-এর নতুন নিয়োগ পদ্ধতিতে একাধিক বদল আনা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৬০ নম্বরের। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য এই প্রথম ১০ নম্বর বরাদ্দ থাকবে। নতুন নিয়োগ ব্যবস্থায় অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্সের গুরুত্ব কমেছে। লেকচার ডেমনস্ট্রেশনের জন্যও বরাদ্দ ১০ নম্বর।
নিয়োগ বিধিতে বড়সড় বদল: ২১ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সীদের আবেদনে সুযোগ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্দিষ্টদের বয়সে ছাড়। আগে ২০ বছর থেকে ৪০ বছর বয়সীদের পরীক্ষায় বসার সুযোগ ছিল। এবার স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মিলবে ১০ নম্বর। আগে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তরের নম্বরের ভিত্তিতে মিলত ১০ নম্বর। সরকার ও সরকারি সাহায্য়প্রাপ্ত স্কুলে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকলে বাড়তি সুযোগ। প্রতি বছরের হিসেবে ২ নম্বর করে মিলবে। আগে প্যানেলের মেয়াদ ছিল ১ বছর, এবার আরও ৬ মাস বাড়তি সময়। ১০ বছর সংরক্ষিত থাকবে OMR-এর স্ক্যান কপি । ২ বছর সংরক্ষিত থাকবে OMR-এর হার্ড কপি । আগে ১ বছর সংরক্ষিত থাকত OMR শিট।






















