SSC Recruitment Scam: হাইকোর্টে বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় বদল, প্রাথমিক-মাদ্রাসায় সরলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Calcutta High Court: এখন থেকে ওই সংক্রান্ত মামলার শুনানি এবং বিচার করবেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Justice Rajshekhar Manthar)।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: হাইকোর্টে বিচারপতিদের (Calcutat High Court) বিচার্য বিষয় বদল। তার ফলে হাতবদল হল স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ মামলার (SSC Recruitment Scam)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বদলে এখন থেকে ওই সংক্রান্ত মামলার শুনানি এবং বিচার করবেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা (Justice Rajshekhar Mantha)। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে উঠবে প্রাথমিক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা সংক্রান্ত মামলা। SSC সংক্রান্ত অমীমাংসিত মামলাগুলিও যদিও তাঁর এজলাসেই রইল।
হাইকোর্টে এসএসসি মামলার হাতবদল
হাইকোর্টের নিয়ম অনুযায়ী, মাঝেমধ্যেই বিচারপতিদের বিচার্য বিষয়ের হাতবদল হয়। এত দিন এসএসসি মামলার বিচার করতেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। রদবদলের পর এসএসসি সংক্রান্ত মামলার দায়িত্ব বর্তাল বিচারপতি মান্থার কাঁধে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এখন থেকে প্রাথমিক এবং মাদ্রা শিক্ষা সংক্রান্ত মামলার শুনানি এবং বিচার করবেন।
তবে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এ যাবৎ এসএসসি সংক্রান্ত আটটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আইনি পরিষাভায় সেগুলিকে ‘Heard in Part’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি, অর্থাৎমামলার আংশিক শুনানিই হয়েছে। তাই ওই আটটি মামলা আপাতত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতেই থাকছে। দুর্নীতি সংক্রান্ত আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিও তাঁর এজলাসেই হবে। তবে এসএসসি নিয়ে নতুন কোনও মামলা দায়ের হলে, তার শুনানি করতে পারবেন না তিনি। সেটি সরাসরি বিচারপতি মান্থার এজলাসে উঠবে।
এসএসসি মামলায় এ যাবৎ কড়া অবস্থান নিতেই দেখা গিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। তাঁর নির্দেশেই সিবিআই-এর কাছে হাজিরা দিতে হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। রাজ্যের বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মেধাতালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর স্কুলের চাকরি হওয়ার পিছনে প্রভাবশালী বাবার হাত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে মন্ত্রীর মেয়েকে। বেতনও ফেরত দিতে বাল হয়েছে।
হাওড়ায় ছাত্রনেতা আনিস খান ‘হত্য়া’ মামলার শুনানিতে রয়েছেন বিচারপতি মান্থা। শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে তিনিই নির্দেশ দিয়েছিলেন। হস্টেল খোলা নিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে ভর্ৎসনাো করেছিলেন।