Supreme Court: ফর্ম জমা দিচ্ছেন দাগিরাও? নিয়োগে স্বচ্ছতা নিয়ে ফের প্রশ্ন, আদালতে ভর্ৎসিত SSC, পরীক্ষা কি পিছিয়ে যাবে?
SSC Case: প্রায় ২৬ হাজার বাতিলের পর নিয়োগপ্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয়, গোড়া থেকে তার উপর জোর দিয়ে আসছে আদালত।

কলকাতা: নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসিত স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC). নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। আগেও একাধিক বার কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। কমিশন নিজের দায়িত্ব পালন করেনি বলেই এত বড় দুর্নীতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। আজকের এই পর্যবেক্ষণও রাজ্য এবং কমিশনের জন্য অস্বস্তি তৈরি করল। (Supreme Court)
প্রায় ২৬ হাজার বাতিলের পর নিয়োগপ্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয়, গোড়া থেকে তার উপর জোর দিয়ে আসছে আদালত। কিন্তু বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন কমিশনের ভূমিকায় ফের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন বিচারপতিরা। আদালত জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে শিক্ষকরা চাকরি পেয়েছিলেন, টেন্টেড বলে চিহ্নিত নন যাঁরা, যাঁরা স্কুলে চাকরি করছেন এবং আদালতের নির্দেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করবেন যাঁরা, তাঁদের ক্ষেত্রে কাট অফ মার্কস হিসেবে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বরই কার্যকর হবে। (SSC Case)
আদালত পরিষ্কার জানিয়েছে, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিধি অনুযায়ীই ফর্ম ফিলআপ করতে পারবেন তাঁরা। ২০২৫ সালের ৫০ শতাংশ কাট অফ মার্কস এঁদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফর্ম ফিলআপের জন্য আরও সাত দিন সময় পাবেন। প্রয়োজনে যদি পরীক্ষার দিন পিছোতে হয়, তাও SSC-কেই করতে হবে।
এদিন শুনানি চলাকালীন যোগ্য প্রার্থীরা জানান, টেন্টেড বা দাগিরাও ফর্ম জমা দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এতে নিয়োগপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে আদালত। বলা হয়, “স্বচ্ছতার জন্যই তো ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়েছিল? সত্যি যদি এমনটা হয়, তা দুর্ভাগ্যজনক। এমনটা যেন না হয়। স্বচ্ছতার জন্য আদালত যা বলেছে, তা মেনে চলতে হবে।” টেন্টেড এবং ননটেন্ডেড তালিকা কেন প্রকাশ করা হল না, আবারও সেই প্রশ্ন উঠছে।
পরীক্ষা পিছনোর জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন যোগ্য প্রার্থীরা। জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশে স্কুলের কাজও করতে হচ্ছে তাঁদের। সেক্ষেত্রে পুজোর পর পরীক্ষা হলে সুবিধা হবে। সেব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করেনি আদালত। বরং কমিশনই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়।
অন্য দিকে, SSC গ্রুপ সি মামলায় আদালতে বিস্ফোরক দাবি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. আদালতে খামবন্ধ অবস্থায় ভিডিও ফুটেজ জমা দিয়েছে তারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্যানেলের তালিকা প্রকাশের দুই সপ্তাহ আগের ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। বৈঠকে পাঁচ জন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন। পরীক্ষা না দিয়ে কী ভাবে পাস করানো যায়, সেই নিয়ে কথা হয়। বৈঠকে থাকা পাঁচ জনের কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে চাইলে, CBI-কে অনুমতি দিয়েছে আদালত। নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া ভিডিও করে রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।





















