SSC Verdict: 'পুরো শিক্ষাব্যবস্থা কোলাপস করে যাবে'! স্কুলে পড়াবেন কারা? রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা!
SSC News:আশঙ্কার মেঘ গাঢ় হয়েছে দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুলে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কালিমুল হকের কথায়, আজকে থেকে ক্লাস কীভাবে চলবে?

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর, কোনও স্কুলে চাকরি গেছে ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষকের। কোনও স্কুলে চাকরি গেছে এক তৃতীয়াংশের বেশি শিক্ষকের। বাদ যাননি শিক্ষাকর্মীরাও। আর এই পরিস্থিতিতে যে প্রশ্নটা সবথেকে বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে, স্কুলে পড়াবেন কারা? যারা উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রেই বা কী ব্যবস্থা নেবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ? সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা।
আশঙ্কার মেঘ গাঢ় হয়েছে দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাই স্কুলে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কালিমুল হকের কথায়, আজকে থেকে ক্লাস কীভাবে চলবে? আমি বুঝতে পারছি না। আমাদের স্কুলে ৮ জন। ৮ জন বাদ যাবে। আমার মতো পুরো রাজ্যজুড়ে অনেক স্কুল আছে। তার প্রভাব পড়বে। পুরো শিক্ষাব্যবস্থা কোলাপস করে যাবে। দুর্গাপুরের নেপালিপাড়া হিন্দি হাইস্কুল। এখানে শিক্ষকের সংখ্যা ২৪ জন। চাকরি বাতিল হয়েছে ৮ জন শিক্ষকের। এবার স্কুল সামলাবেন কী করে। মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি গেছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর। আর এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়ছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকাদের। এমনও স্কুল রয়েছে যেখানে ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষককে চাকরি হারাতে হয়েছে। যেমন, মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর হাইস্কুল। এই স্কুলে মোট শিক্ষক ৬৭ জন। তার মধ্যে চাকরি বাতিল হয়েছে ৩৬ জনেরই, অর্থাৎ ৫০ শতাংশেরও বেশি। ৮ হাজার পড়ুয়ার এই স্কুল চলবে কী করে তাহলে?
মুর্শিদাবাদেরই আরেকটি স্কুল ভগবানগোলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। এই স্কুলে শিক্ষক সংখ্যা ৬২। এর মধ্যে ২১ জনেরই চাকরি চলে গেছে। প্রায় চার হাজার পড়ুয়ার এই স্কুল চলবে কী করে বুঝে উঠতে পারছেন না প্রধান শিক্ষিকা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দীপান্বিতা রায় বলেন, 'এতজন যদি আমার স্কুল থেকে চলে যায়, সামনে পরীক্ষা, আগামীকাল থেকে আমাদের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে স্কুল তো অবশ্যই ভীষণভাবে বিপর্যস্ত হবে।'
বিরোধীরা বলছে, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজ্য সরকারই। নিয়োগ যদি দুর্নীতিতে ভরা না হত, তাহলে চাকরিও যেত না, স্কুলগুলোর এই হালও হত না। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্কুলগুলিতে যখন শিক্ষক-শিক্ষিকার আকাল পড়ার পরিস্থিতি, তখন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'শিক্ষাব্যবস্থাকে কোলাপস্ করা কি বিজেপি সরকারের টার্গেট? বাংলাকে আর কত টার্গেট করবে?'
যে শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদের অনেকেই উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে এবার কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে? উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, 'কিছু আছে যারা খাতা দেখছে। আমরা গোটা বিষয়টা বিবেচনা করছি কী করে কী করা যায়।'






















