Teachers Protest: "হঠাৎ এসে মারতে শুরু করল, মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ি'' দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কায় চাকরিহারা শিক্ষক
Kolkata News: চাকরি ফেরত চেয়ে রাস্তায় নেমে, শাসক দল, পুলিশের হাতে মার খেয়ে রক্তাক্ত শিক্ষকরা। তবু আন্দোলনে অনড়।

কলকাতা: বিকাশভবনে পুলিশের মারে চোখে আঘাত এক চাকরিহারা শিক্ষকের (Teachers Protest), এমনটাই অভিযোগ আন্দোলনকারী ওই শিক্ষকের। চাকরি তো হারিয়েছেন এবার চোখ বাঁচানোর লড়াই শুরু। অভিযোগ, যারা মেরেছে কারোর পরনে পুলিশের পোশাক ছিল না। পুলিশের বেধড়ক মারধরে চোখ নষ্টের অভিযোগ চাকরিহারা শিক্ষকের।
দৃষ্টিশক্তি হারানোর আশঙ্কা গতকাল ফের চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর চলে লাঠি, লাথি। বৃহস্পতিবার এভাবেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বিকাশভন চত্বর। চাকরি ফেরত চেয়ে রাস্তায় নেমে, শাসক দল, পুলিশের হাতে মার খেয়ে রক্তাক্ত শিক্ষকরা। তবু আন্দোলনে অনড়। ক্লাসরুমে যাঁদের থাকার কথা আজ তাঁরা হকের চাকরি ফেরতের দাবিতে রাস্তায়। দক্ষিণ ২৪ সুভাষনগর হাইস্কুলের ভৌতবিজ্ঞানের শিক্ষক রজত হালদার। বিকাশভবন অভিযানে গুরুতর চোট পেয়েছেন বাঁচোখে। পড়েছে ৩টে সেলাই। আক্রান্ত চাকরিহারা শিক্ষক রজত হালদার বলেন, "পুলিশ ব্যাপকভাবে লাঠিচার্জ করেছে। আমরা সেই সময় বসে ছিলাম। বিকাশ ভবনের কর্মচারীরা তখন বেরিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশে আন্দোলন কব্জা করে নিয়েছে। আমরা একটা পাঁচিলের ধারে বসেছিলাম। হঠাৎ দেখলাম দুজন অতর্কিতে এলেন। তাঁদের কারোরই পরনে পুলিশের পোশাক ছিল না। জিন্স টিশার্ট পরা। ফাইবারের স্টিক হাতে এলেন। আমি বসেছিলাম আর একজন আমার পাশে, আরেকজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফলে যিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন তার পায়ে সরাসরি আঘাত লেগেছে। আমি বসে থাকায় চোখে। একসঙ্গে দুজনেই মেরেছে লাঠি দিয়ে। রীতিমতো মাথা চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। বাঁ চোখের উপরে তিনটে সেলাই পড়েছিলাম। প্রথমে দেখতে পারছিলাম না। এখন ঝাপসা দেখছি। একজন পুলিশ অফিসার বলছেন, মৃদু লাঠিচার্জ করেছি। এটা মৃদু লাঠিচার্জের নমুনা!''
শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লাঠিপেটা আর গলাধাক্কা দেওয়াই নয়, তাঁদের বিরুদ্ধে এবার স্বতঃপ্রোণদিত মামলাও রুজু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে, সরকারি কর্মচারীদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনায়, ১৭ জন চাকরিহারা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের সামনেই চাকরিহারা শিক্ষকদের লাথি মারে তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্তর অনুগামীরা। এমনকি হেলমেট দিয়ে পিটিয়েছিল বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁরা যখন শাসকদলের লোকজনের হাতে আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তখন পুলিশের কোনও তৎপরতা দেখা যায়নি। কিন্তু সেই পুলিশই একেবারে নিজেদের উদ্যোগে আক্রান্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে।






















